পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে প্রেমিকের ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন এক নারী। পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামে প্রেমিক অসীম রায়ের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার মহিষচরনী গ্রামের পূজা মন্ডল।
এক কন্যা সন্তানের জননী পূজা মন্ডল মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা থেকে প্রেমিক অসীম রায়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে কান্নাকাটি ও অনশনের মাধ্যমে তাকে বিয়ে করার দাবি জানান। পূজার ভাষ্যমতে, প্রেমিক অসীম রায়ের সাথে তার সম্পর্ক প্রায় ১২ বছর আগে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পরিচয়ের মাধ্যমে শুরু হয়। তখন থেকেই তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
প্রেমের টানে পূজা প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়ি ফিরে আসেন এবং অসীমের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যান। এরপর পরিবারের চাপে দ্বিতীয় বিয়ে হয় কাঠালতলার দেব প্রসাদ সেনের সঙ্গে, যেখান থেকে তার একটি সাড়ে তিন বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু দেব প্রসাদের সঙ্গেও থাকাকালীন পূজা অসীম রায়ের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেন এবং বিভিন্ন সময়ে আত্মীয়ের পরিচয়ে তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটান বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি প্রেমিক অসীম রায়ের কথায় পূজা মন্ডল ৪ মে ২০২৫ তারিখে বাগেরহাট নোটারি পাবলিক অফিসে এফিডেভিটের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বামীকেও ডিভোর্স দেন। এরপরই তিনি প্রেমিক অসীম রায়ের বাড়িতে এসে অনশনের মাধ্যমে বিয়ের দাবি জানান। পূজা বলেন, “অসীম যদি আমাকে বিয়ে না করে, তবে আমি এখান থেকে লাশ হয়ে ফিরব।”
তবে প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে অসীম রায় মোবাইল ফোন বন্ধ করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তার পরিবারের দাবি, পূজা তাদের ছেলেকে মিথ্যা প্রেম ও প্রলোভনে বিভ্রান্ত করেছে এবং তার কারণে অসীম পরিবার থেকে বহু টাকা নিয়ে খরচ করেছে। অসীমের মা বলেন, “যে মেয়ে একের পর এক স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারে, সে আমার ছেলেকে নিয়েও এমন কিছু করতে পারে না তার গ্যারান্টি কী?”
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। প্রেমিক অসীম রায়ের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে পূজা মন্ডলের অনশনের খবরে স্থানীয় লোকজন ভিড় করছেন এবং প্রশাসনের দিক থেকেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।