
সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাটে বিশেষ অভিযান চালিয়ে একটি একনলা বন্দুক, চারটি ইন্ডিয়ান পাওয়ার জেল, পাঁচটি নন-ইলেকট্রিক ডেটোনেটর ও ২০০ গ্রাম গান পাউডার উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। উদ্ধারকৃত এসব আলামত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে মজুত করা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
র্যাব জানায়, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়াইনঘাট থানার ৮ নম্বর তোয়াকুল ইউনিয়নের তোয়াকুল বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তোয়াকুল বাজারে অবস্থিত ‘মায়ের হাসি ক্লিনিক’-এর পূর্ব পাশে একটি টাওয়ারের নিচ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র ও বিস্ফোরকগুলো উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানায়, অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও বিস্ফোরক সামগ্রী নাশকতার প্রস্তুতির ইঙ্গিত বহন করছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
র্যাবের তথ্যমতে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত র্যাব-৯ এর আওতাধীন সিলেট বিভাগ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত অভিযানে সর্বমোট ২৭টি দেশি ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০০ রাউন্ড গুলি, চারটি ম্যাগাজিন, ৩ হাজার ৩৫৫ গ্রাম বিস্ফোরক, ১৮টি ডেটোনেটর, একটি সাউন্ড গ্রেনেড এবং বিপুল পরিমাণ এয়ারগানের গুলিসহ আটটি এয়ারগান উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গণমাধ্যম কর্মকর্তা কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, শুক্রবার রাতে উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক সামগ্রী গোয়াইনঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব আলামত নাশকতার কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ধরনের অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।