ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ বিরোধী দলগুলোর নেতারা রোববার (১১ মে) দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে অপারেশন সিন্দুর এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে জানা গেছে, রাহুল গান্ধী চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, পহেলগাম আক্রমণ, অপারেশন সিন্দুর এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি লিখেছেন, “প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, আমি অবিলম্বে সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্য বিরোধী দলের সর্বসম্মত অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করছি।”
রাহুল গান্ধী আরও বলেছেন, “এগুলো নিয়ে আলোচনা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় আমাদের সম্মিলিত সংকল্প প্রদর্শনের একটি সুযোগ হবে।” তিনি এই দাবি করেছেন, যাতে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন।
এছাড়া, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা এবং কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি লিখে একই দাবি উত্থাপন করেছেন। তিনি পহেলগাম আক্রমণ পরিপ্রেক্ষিতে সংসদের উভয় কক্ষের বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের জন্য ২৮ এপ্রিল তারিখের চিঠি উল্লেখ করেছেন।
তিনি চিঠিতে লিখেছেন, “সর্বশেষ ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা ইতোমধ্যে আপনাকে চিঠি লিখে পহেলগাম সন্ত্রাস, অপারেশন সিন্দুর এবং ‘প্রথমে ওয়াশিংটন ডিসি ও পরে ভারত ও পাকিস্তান সরকারের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা’ নিয়ে আলোচনা করার জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের জন্য সমস্ত বিরোধী দলের সর্বসম্মত অনুরোধ জানিয়েছেন।”
মল্লিকার্জুন খাড়গে আরও উল্লেখ করেন, “রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি এই অনুরোধের সমর্থনে লিখছি। আমার বিশ্বাস আপনি একমত হবেন।”
পহেলগাম আক্রমণ এবং অপারেশন সিন্দুর নিয়ে বিরোধী দলগুলোর এই অবস্থান, রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। উভয় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, সংসদে আলোচনার মাধ্যমে সরকারের পদক্ষেপগুলির ব্যাখ্যা এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা স্পষ্ট করার জন্য বিশেষ অধিবেশন ডাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিরোধী দলের নেতারা বিশ্বাস করেন যে, এই বিশেষ অধিবেশন দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। এতে সরকারের কার্যক্রমের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত হবে।
ভারতের রাজনীতিতে বিশেষ অধিবেশন ডাকার এই আহ্বান দেশটির নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক সম্পর্কের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরু করতে পারে। বিরোধী দলগুলি সরকারের সঙ্গে একটি সঠিক সমাধান বের করার জন্য সংসদে সক্রিয় আলোচনা চান।