
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সংশ্লিষ্ট রাশিয়ান সংস্থাগুলো যুক্তরাষ্ট্রসহ পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর কর্মকাণ্ড যতটা প্রয়োজন, ততটা নিবিড়ভাবে নজরদারি করছে।”
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ‘মিনিটম্যান III’ আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (ICBM) পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে মস্কো গভীরভাবে অবগত। জাখারোভা বলেন, “ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য কী, তা যুক্তরাষ্ট্রের স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত।”
রুশ মুখপাত্র আরও যোগ করেন, “আমরা লক্ষ্য করছি, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আসা সংকেতগুলো প্রায়শই অস্পষ্ট ও বিতর্কিত। এই ধরণের বার্তা বিশ্বজুড়ে বৈধ উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে।”
এর আগে, গত সপ্তাহে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেন্টাগনকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দেন। যদিও তিনি পরীক্ষার ধরন বা তাতে পারমাণবিক ওয়ারহেড বিস্ফোরণের বিষয়টি নির্দিষ্ট করেননি।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৫ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের ওপর অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের নির্দেশ দেন।
পুতিনের নির্দেশনায় বলা হয়, পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির সম্ভাব্য শুরুর বিষয়ে একটি সমন্বিত প্রস্তাব তৈরির প্রয়োজন রয়েছে।
তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বার্তা সংস্থা তাস-কে বলেন, “প্রেসিডেন্ট সরাসরি কোনও পারমাণবিক পরীক্ষা শুরুর নির্দেশ দেননি, বরং এর প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছেন।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর রাশিয়ার এই সতর্ক প্রতিক্রিয়া নতুন এক শীতল যুদ্ধের ছায়া আরও গাঢ় করছে।