বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সন্তান শারমিন আহমদ ও সোহেল তাজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে সাক্ষাতের একটি ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, “তাজউদ্দীন আহমদের সন্তানদের সঙ্গে আজ যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে।”
এই সাক্ষাৎ এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হলো, যখন দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট উত্তপ্ত। আওয়ামী লীগ সরকার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে ভারতে অবস্থান করছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন, তবে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের সঙ্গে তার দূরত্ব নিয়ে নানা আলোচনা চলে আসছে।
তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন আহমদ একজন লেখক ও গবেষক হিসেবে পরিচিত, যিনি নিয়মিতভাবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের সমালোচনা করে আলোচনায় আসেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা’ এবং ‘৩ নভেম্বর: জেল হত্যার পূর্বাপর’।
২০২৪ সালের শেষ দিকে এক সাক্ষাৎকারে শারমিন আহমদ বলেছিলেন, “আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।”
অন্যদিকে সোহেল তাজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি বিস্ফোরক স্ট্যাটাস দেন। তিনি লেখেন, “গতকাল গোপালগঞ্জে যে হামলা হয়েছে, তার মূল উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের হত্যার হীন প্রচেষ্টা। আমি অবাক হবো না যদি এর নির্দেশ ডেভিল রানী নিজেই দিয়ে থাকেন।”
এই স্ট্যাটাস ঘিরেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে।
তবে সোহেল তাজের এই মন্তব্যের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার বা সংশ্লিষ্ট পক্ষের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।