ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে বৈশ্বিক উত্তেজনার মধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) মস্কোয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে পারস্পরিক বোঝাপড়ার উপর জোর দেওয়া হয়।
বৈঠকে আমিরাত প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করে বলেন, “এই সফর রাশিয়া ও আমিরাতের জনগণের জন্য ইতিবাচক এবং আনন্দদায়ক ফলাফল বয়ে আনবে। আমরা সবসময় আমাদের দেশগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করি।” পুতিনও তার আন্তরিক অভ্যর্থনার মাধ্যমে উষ্ণ সম্পর্কের বার্তা দেন।
এদিকে, বৈঠকের প্রেক্ষাপটে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে আসন্ন ট্রাম্প-পুতিন সাক্ষাৎ। জানা গেছে, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই আরব আমিরাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের দেওয়া ‘আল্টিমেটাম’ আগামীকাল (৮ আগস্ট) শেষ হচ্ছে। সেইসঙ্গে রাশিয়া থেকে তেল আমদানিকারক দেশগুলোর ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প এক বিবৃতিতে জানান, “ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে আলোচনার জন্য খুব শিগগিরই রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করার একটি ভাল সুযোগ রয়েছে।” ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এই পরিকল্পনার প্রতি ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তবে পুতিন তার বক্তব্যে স্পষ্ট করেছেন, জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি এখনও অনেক দূরে, কারণ ‘প্রয়োজনীয় শর্ত’ পূরণ হয়নি। “এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হতে এখনো অনেক পথ বাকি,” বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠকগুলোর মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের সম্ভাবনা বাড়লেও ভেতরের কূটনৈতিক সমীকরণ এবং শক্তি প্রয়োগের কৌশলই শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করবে পরিস্থিতির গতিপথ।