
ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগির ভয়াবহ তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশজুড়ে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞে এখনো নিখোঁজ ১৩৫ জন এবং আহত হয়েছে অন্তত ৯৬ জন। ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরেক দেশ ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইনকোয়ারার জানায়, সরকারের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট ২২ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮২ জন মানুষ ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৪ জন এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
ঘূর্ণিঝড়ে সারা দেশে ৯ হাজার ৫৮৫টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২৬৪টি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ ও যোগাযোগব্যবস্থায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, অনেক এলাকা এখনো বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যেই ফিলিপাইনে আরেকটি শক্তিশালী সুপার টাইফুন ‘ফাং-ওং’ আঘাত হানতে পারে। ফলে দেশজুড়ে নতুন করে দুর্যোগের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, ভিয়েতনামের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, কালমায়েগির প্রভাবে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে শত শত বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে, রাস্তা ও বাজার প্লাবিত হয়েছে। বহু গাছপালা এবং বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে, যার ফলে যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
ভিয়েতনাম সরকারের তথ্যমতে, অন্তত ১২টি বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং আরও ৫০০টিরও বেশি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় অঞ্চল থেকে ৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় ফিলিপাইনের জরুরি সেবা সংস্থাগুলো নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। দেশজুড়ে মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।