1. hmonir19799@gmail.com : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. rtbdnews@gmail.com : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. info@www.rtbdnews.com : RT BD NEWS :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
২০২৭ সালের মধ্যে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা দায়িত্ব ইউরোপের নিতে হবে—যুক্তরাষ্ট্রের চাপ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার তারিখ এখনো চূড়ান্ত নয়—ইসি কালীগঞ্জে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কুরআন খতম ও গণদোয়া মাহফিল পঞ্চগড়ে কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ১০.৫ ডিগ্রিতে ঝিনাইদহে গর্ব ও শ্রদ্ধায় পালিত হানাদারমুক্ত দিবস জুলাই বিপ্লব তরুণদের ম্যানপাওয়ারে রূপান্তর করেছে: ভিপি সাকিক কায়েম এলজিইডির উন্নয়ন কাজ বদলে দিচ্ছে কালীগঞ্জের গ্রামীণ জনপদ ভারতে জ্বালানি তেলের সরবরাহ অব্যাহত রাখার ঘোষণা পুতিনের সহকারী অধ্যাপক ড. আক্তার হাসানের ইন্তেকাল: কালীগঞ্জে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন দিঘলিয়ায় ৮ দলের সমাবেশে যোগ দেওয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম থেকে বের করে দিলেন সভাপতি

টাইফুন কালমেগির তাণ্ডবে ফিলিপাইনে ২৬ জনের মৃত্যু, লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত

আরটি বিডিনিউজ অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫
টাইফুন কালমেগির তাণ্ডবে ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু ও লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাত ও বন্যায় সেবুসহ কয়েকটি দ্বীপে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সিভিল ডিফেন্স অফিস।

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে টাইফুন কালমেগির ভয়াবহ তাণ্ডবে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে শত শত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সিভিল ডিফেন্স অফিস (ওসিডি)।

সোমবার মধ্যরাতে টাইফুন কালমেগি দেশটির উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে। এর ফলে অসংখ্য মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে ছাদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে গেলে গাড়ি ভেসে যেতে দেখা যায়। বিপর্যস্ত এলাকার বাসিন্দারা জানান, “পানি এত দ্রুত উঠছিল যে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুরো শহর ডুবে যায়।”

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা রাফায়েলিতো আলেজান্দ্রো বলেন, এখন পর্যন্ত কেবল সেবু প্রদেশেই ২১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে, আর পুরো দেশে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ জনে। বেশিরভাগ মানুষই পানিতে ডুবে মারা গেছেন।

টাইফুন কালমেগি আঘাত হানার সময় ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছিল। এতে গাছপালা উপড়ে পড়ে এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দেশের একাধিক অঞ্চল।

সেবু প্রদেশের গভর্নর পামেলা বারিকুয়াত্রো ফেসবুকে লিখেছেন, “আমরা ভেবেছিলাম বাতাসই প্রধান বিপদ হবে, কিন্তু প্রকৃত বিপদ এসেছে বন্যার পানির মাধ্যমে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অভাবনীয়।”

স্থানীয় কর্মকর্তা এথেল মিনোজা জানান, সেবু সিটিতে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং উদ্ধারকর্মীরা এখনও পানিবন্দি মানুষদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।

সেবু সিটির ২৮ বছর বয়সী বাসিন্দা ডন ডেল রোসারিও বলেন, “আমি ২৮ বছর ধরে এখানে আছি, কিন্তু এর চেয়ে ভয়াবহ কিছু কখনও দেখিনি। আমরা ভবনের উপরের তলায় আশ্রয় নিয়েছিলাম, পানি মুহূর্তেই সবকিছু গ্রাস করে নেয়।”

ওসিডি জানিয়েছে, টাইফুনের সম্ভাব্য গতিপথ থেকে প্রায় ৪ লাখ মানুষকে আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবুও, অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে ভুগছেন।

এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তা করতে গিয়ে একটি সুপার হিউই উড়োজাহাজ উত্তর মিন্দানাও দ্বীপে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিপাইনের সেনাবাহিনী। তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে ঘূর্ণিঝড় ও টাইফুন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। উষ্ণ মহাসাগরের পানির কারণে টাইফুন দ্রুত তীব্রতা লাভ করছে এবং ভারী বৃষ্টিপাতের ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে।

ফিলিপাইনে টাইফুন কালমেগির এই আঘাত আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে—প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ও জলবায়ু অভিযোজনই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট