যুক্তরাষ্ট্র সরকার পর্যটন ও ব্যবসার উদ্দেশ্যে (বি১/বি২) ভিসার আবেদনকারীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত জামানত নেওয়ার একটি পরীক্ষামূলক কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিবিসি এক প্রতিবেদনে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে।
১২ মাস মেয়াদি এই পাইলট প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য হলো এমন দেশগুলোর নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণ করা, যাদের ভিসাধারীরা নির্ধারিত সময়ের বেশি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে (ওভারস্টে) কিংবা যেসব দেশের নিরাপত্তা যাচাই ও স্ক্রিনিং ব্যবস্থা দুর্বল বলে বিবেচিত হয়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসন রোধের এজেন্ডার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনেই ট্রাম্প এ বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। তবে বিজ্ঞপ্তিতে কোন কোন দেশ এই নিয়মের আওতায় আসবে তা স্পষ্ট করা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, যেসব বিদেশি বি১/বি২ ভিসার আবেদন করছেন এবং যাদের দেশ ওভারস্টে প্রবণ, স্ক্রিনিং দুর্বল, অথবা বিনিয়োগের বিনিময়ে নাগরিকত্ব দেয়—তাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ডলারের জামানত দিতে হতে পারে। কনস্যুলার কর্মকর্তারা প্রতিটি আবেদনের ভিত্তিতে জামানতের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করবেন।
বিবিসি জানিয়েছে, ক্ষমতায় আসার পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন একাধিক মানবিক অভিবাসন কর্মসূচি বাতিল করেছে, ১২টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং আরও সাতটি দেশের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়া শত শত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল ও হঠাৎ গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে।
ইমিগ্রেশন আইনজীবীদের মতে, অনেক ক্ষেত্রেই ফৌজদারি অপরাধ ছাড়াও ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের মতো ছোটখাটো কারণে ভিসা বাতিল করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ফিলিস্তিনপন্থী কার্যক্রমে জড়িতদেরও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।