1. hmonir19799@gmail.com : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. rtbdnews@gmail.com : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. info@www.rtbdnews.com : RT BD NEWS :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী অরবান দাবি: ইউরোপ ২০৩০ সালের মধ্যে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ঝিনাইদহে উদযাপিত বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস: স্বাস্থ্যকর মাটির গুরুত্বে আলোচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা ২০২৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত থাকবে – ব্রিটিশ হাইকমিশনার ঝিনাইদহে ছোট ভাইয়ের বটির আঘাতে বড় ভাই নিহত দিঘলিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ভোটার সমাবেশে মাওলানা কবিরুল ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য জামালপুরে বাস চাপায় অটোরিক্সার এক যাত্রী নিহত, আহত ৫ ২০২৭ সালের মধ্যে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা দায়িত্ব ইউরোপের নিতে হবে—যুক্তরাষ্ট্রের চাপ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার তারিখ এখনো চূড়ান্ত নয়—ইসি কালীগঞ্জে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কুরআন খতম ও গণদোয়া মাহফিল পঞ্চগড়ে কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ১০.৫ ডিগ্রিতে

রাশিয়া-চীনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়, মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্রাগার সেকেলে

আরটি বিডিনিউজ অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রাগার পুরনো ও সীমিত বলে সতর্ক করেছেন কৌশলগত প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ রবার্ট পিটার্স। রাশিয়া ও চীন দ্রুত অস্ত্রাগার বাড়ালেও ওয়াশিংটন ২০৫০ সালের মধ্যে মাত্র তিনগুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের অ্যালিসন সেন্টার ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটির কৌশলগত প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ রবার্ট পিটার্স সতর্ক করেছেন, মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্রাগার বর্তমানে পুরনো হয়ে গেছে এবং রাশিয়া-চীনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তা অপর্যাপ্ত।

ফক্স নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে প্রায় ১ হাজার ৭৫০টি কার্যকরী (মোতায়েনকৃত) পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। বিশেষজ্ঞের মতে, এই সংখ্যা রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়ার দ্রুত সম্প্রসারিত অস্ত্রাগারের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রকে।

রবার্ট পিটার্স উল্লেখ করেন, “আমাদের নতুন ওয়ারহেডগুলোও ১৯৮৯ সালে তৈরি। ২০১০ সালে প্রেসিডেন্ট ওবামার সময়ে যে শক্তির কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটিই এখনও চলছে। তখন ধারণা করা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে প্রতিযোগিতা শেষ হবে এবং চীন পারমাণবিক ক্ষেত্রে বড় খেলোয়াড় হবে না।”

ওয়াশিংটনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্যকরী পারমাণবিক ওয়ারহেড সংখ্যা তিনগুণ বাড়িয়ে প্রায় ৪৬২৫-এ উন্নীত করা হবে। এর মধ্যে ৩৫০০ কৌশলগত ওয়ারহেড মোতায়েন করা হবে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন ও বোমারু বিমানে। এছাড়া ১১২৫টি অ-কৌশলগত ওয়ারহেড সংরক্ষণে থাকবে।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SIPRI)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে প্রায় সব পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ২০২৪ সালে তাদের অস্ত্রাগার আধুনিকীকরণে গতি বাড়িয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্বে মোট ১২ হাজার ২৪১টি পারমাণবিক ওয়ারহেড ছিল, যার মধ্যে ৯ হাজার ৬১৪টি মজুদ রাখা হয়েছে সম্ভাব্য ব্যবহারের জন্য। এর মধ্যে ৩৯১২টি মোতায়েনকৃত এবং ২১০০টি উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের প্রায় ৯০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার হাতে। বর্তমানে চীনের কাছে কমপক্ষে ৬০০টি ওয়ারহেড রয়েছে এবং ২০২৩ সাল থেকে দেশটি প্রতি বছর প্রায় ১০০টি নতুন ওয়ারহেড যুক্ত করছে, যা বিশ্বে দ্রুততম হারে পারমাণবিক অস্ত্রাগার সম্প্রসারণ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তার অস্ত্রাগার দ্রুত আধুনিকায়ন না করে, তবে আসন্ন দশকে রাশিয়া ও চীনের তুলনায় নিরাপত্তাজনিত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট