1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং বিশ্বে ভবিষ্যত প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটাবে - RT BD NEWS
শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শাহবাগে খালেদা জিয়া এলে পৃথিবীর সবচেয়ে স্বর্গীয় দৃশ্য হতো’—পিনাকী হামলার আশঙ্কায় ভারতজুড়ে নিরাপত্তা ২৪ বিমানবন্দর ও বন্দর স্থগিত ভারত-পাকিস্তান ড্রোন যুদ্ধ: দক্ষিণ এশিয়ায় বিপজ্জনক অধ্যায়ের সূচনা যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বড় জমায়েত পাকিস্তানের আকাশসীমায় ৭৭টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় নিরাপত্তা শঙ্কা, আইপিএল স্থগিত তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার জানে কী?: তারেক রহমান হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত রিপোর্ট ১২ মে জমা শাহবাগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবরোধ, বিএনপির অনুপস্থিতি হত্যা মামলায় সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেপ্তার, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং বিশ্বে ভবিষ্যত প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটাবে

ধ্রব রহমান
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং আধুনিক প্রযুক্তির এক যুগান্তকারী সাফল্য, যা তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়ায় বিপ্লব ঘটাতে পারে। তবে, এই প্রযুক্তি সবার কাছে এতটা পরিচিত নয়, বিশেষত যাদের প্রযুক্তি সম্পর্কে সীমিত ধারণা রয়েছে। কোয়ান্টাম কম্পিউটিং কী, এটি কীভাবে কাজ করে, এবং কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ণ।

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং হল একটি নতুন ধরনের গণনা প্রযুক্তি যা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের উপর ভিত্তি করে কাজ করে। সাধারণ কম্পিউটারগুলো বিট (bit) ব্যবহার করে যা “0” বা “1” এ অবস্থান করে। তবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার কুবিট (qubit) ব্যবহার করে, যা একসাথে “0” এবং “1”-এর মধ্যে অবস্থান করতে পারে। কুবিটের এই অসীম সম্ভাবনা তাকে কম্পিউটিং ক্ষমতায় অনেক বেশি ক্ষমতাশালী করে তোলে।

কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মূল ভিত্তি হচ্ছে কোয়ান্টাম মেকানিক্স, যা পদার্থবিদ্যার একটি শাখা। এই শাখার মাধ্যমে আমরা এমন আচরণ দেখতে পাই, যা সাধারণত আমাদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতায় দেখা যায় না। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের কয়েকটি মূল ধারণা হলোঃ

সুপারপজিশন (Superposition): কোয়ান্টাম বিট বা কুবিট একটি সময়ের মধ্যে একাধিক অবস্থানে থাকতে পারে, “0” এবং “1”-এর মিশ্রণ হতে পারে।

এনট্যাঙ্গেলমেন্ট (Entanglement): দুটি কুবিট একে অপরের সাথে যুক্ত হতে পারে, এবং একটির অবস্থা জানালে অন্যটির অবস্থাও জানা যায়, তা দূরত্বে থাকলেও।

ইন্টারফিয়ারেন্স (Interference): কুবিটগুলো একে অপরের সাথে ইন্টারফিয়ার করে, এবং এটি নির্দিষ্ট ফলাফলে পৌঁছাতে সাহায্য করে।

একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটার সাধারণ কম্পিউটার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে কাজ করে। সাধারণ কম্পিউটারে যেভাবে বিটের মাধ্যমে তথ্য প্রক্রিয়াকৃত হয়, কোয়ান্টাম কম্পিউটারে কুবিটের মাধ্যমে তথ্য প্রক্রিয়া হয়। কোয়ান্টাম ক্যালকুলেশন এমনভাবে কাজ করে যে একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটার একসাথে বহু সম্ভাবনা পরীক্ষা করতে পারে।

উদাহরণ হিসেবে: আপনি যদি একটি সাধারণ কম্পিউটারে ১০টি তথ্যের মধ্যে সঠিক একটি নির্বাচন করতে চান, তবে এটি একবারে একটি তথ্য পরীক্ষা করে। কিন্তু কোয়ান্টাম কম্পিউটার একসাথে সব তথ্য পরীক্ষা করতে সক্ষম, যার ফলে অনেক দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়।

গণনা ক্ষমতা: কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান অনেক দ্রুত হতে পারে, বিশেষত যেসব সমস্যা ক্লাসিক্যাল কম্পিউটারে সমাধান করা কঠিন। এতে জটিল অ্যালগরিদম বা গাণিতিক সমস্যাগুলোর সমাধান দ্রুত পাওয়া সম্ভব।

ডেটা এনক্রিপশন: কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিরাপত্তা ও এনক্রিপশন প্রযুক্তি বিপ্লব ঘটাতে পারে। এটি অত্যন্ত শক্তিশালী এনক্রিপশন তৈরি করতে সাহায্য করবে, যা বর্তমানে প্রচলিত এনক্রিপশন প্রযুক্তি ভাঙার জন্য সহজ হবে।

যৌগিক বিজ্ঞান: কোয়ান্টাম কম্পিউটারদের সাহায্যে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া বা নতুন ওষুধ তৈরির জন্য গবেষণা আরও উন্নত হবে, কারণ এই প্রযুক্তি বিশাল ডেটা পদ্ধতির সাথে দ্রুত কাজ করতে সক্ষম।

বিশাল ডেটা প্রসেসিং: কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সাহায্যে বিশাল পরিমাণ ডেটা দ্রুত বিশ্লেষণ করা সম্ভব, যা বড় পরিসরের প্রজেক্ট ও গবেষণার জন্য উপকারী।

যদিও কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে প্রচুর আশা রয়েছে, তবে এটি এখনও প্রচলিত কম্পিউটার ব্যবস্থার চেয়ে অনেক এগিয়ে না। কিছু চ্যালেঞ্জ এখনও সামনে রয়েছে:

স্টেবল কুবিট: কুবিটগুলি সহজে স্থিতিশীল নয় এবং বাইরের পরিবেশের প্রভাবের কারণে তাদের অবস্থা পরিবর্তিত হতে পারে। এটি কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরিতে এক বিশাল বাধা।

দ্বন্দ্বপূর্ণ প্রোগ্রামিং: কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রোগ্রাম করা সাধারণ কম্পিউটার থেকে অনেক আলাদা। এটি বিশেষ দক্ষতা ও জ্ঞানের প্রয়োজন।

পাল্টানো পরিসংখ্যান: কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের ফলাফল কখনও ১০০% নির্ভুল হয় না, তাই কেসগুলোর সঠিক ফলাফল বের করতে বিশেষ প্রযুক্তির প্রয়োজন।

কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের সম্ভাবনা অসীম। একদিকে যেমন এটি তথ্যপ্রযুক্তির জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে, তেমনি অন্যদিকে এটি বিজ্ঞান, চিকিৎসা, অর্থনীতি, এবং এনক্রিপশনেও বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম। বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা বর্তমানে এই প্রযুক্তির বাস্তবায়নে কাজ করছেন এবং এটি আগামী দশকে আরও উন্নত হতে পারে।

বিশ্বের প্রধান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলি যেমন গুগল, আইবিএম, মাইক্রোসফট, এবং অ্যামাজন কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। তবে, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এখনো প্রাথমিক স্তরে রয়েছে এবং এর পূর্ণ ক্ষমতা কাজে লাগানো কিছু সময় নিবে।

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং অত্যন্ত শক্তিশালী প্রযুক্তি হতে পারে যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে জড়িত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেবে। কিন্তু, এই প্রযুক্তির উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন এখনও অনেক বাধা অতিক্রম করতে হবে। ভবিষ্যতে এটি কিভাবে বিশ্বকে পরিবর্তন করবে, তা সময়ই বলে দেবে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট