দেশে চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের অবসান হয়নি, বরং চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বদল হয়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) কুমিল্লার দেবিদ্বারে আলেম-ওলামাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা ও শীতবস্ত্র উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “সমাজের সার্বিক বিষয়ে কথা বলা শুধু রাজনৈতিক নেতাদের কাজ নয়, আলেম-ওলামাদেরও দায়িত্ব। মসজিদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে হকের পক্ষে এবং বাতিলের বিপক্ষে কথা বলুন।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “দেশের যে ঐতিহ্যগত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে, সেটিকে রক্ষা করতে আলেম সমাজকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে বলে কিছু গোষ্ঠী প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যেন কেউ সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে সংঘাত লাগাতে না পারে।”
হাসনাত আবদুল্লাহ জোর দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমরা ঐতিহ্যগতভাবে একে অপরের পাশে থেকে সম্প্রীতি বজায় রেখেছি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই ঐতিহ্যকে যারা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করবে, তাদের রুখে দাঁড়ানো জরুরি।”
মতবিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিগার সুলতানার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দেবিদ্বার ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আলাউদ্দিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার তোফাজ্জল হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের উপদেষ্টা নাজমুল হাসান নাহিদ, সমন্বয়ক মুহতাদির যারিফ সিক্ত এবং মো. সিয়াম আহাম্মেদ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন মুফতি আবদুল আহাদ।
অনুষ্ঠানে অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। বক্তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি রোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় বক্তারা বলেন, আলেম-ওলামা, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে সমাজ থেকে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব এবং দুর্নীতি নির্মূল করতে।