ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে টিআর (টেস্ট রিলিফ) প্রকল্পে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুল মন্ডল এর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুযায়ী, সরকারি বরাদ্দকৃত উন্নয়ন কাজ যথাযথভাবে না করে ব্যক্তিস্বার্থে শ্রমিক ব্যবহার ও প্রকল্পের টাকা অপব্যবহার করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বড়কামারকুন্ডু গ্রামের ইসরাইলের বাড়ি থেকে মনা খন্দকারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ফ্ল্যাট সলিং করার প্রকল্পের আওতায় বালি ও ইট বসানোর কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, রাস্তায় শুধু মাটি ফেলে সমতল করার কাজ করা হয়েছে — ইট-বালির কোনো চিহ্ন নেই।
স্থানীয় গৃহবধূ পাখি খাতুন বলেন, “আমরা শুনেছিলাম ইট বসবে, কিন্তু এখন দেখি শুধু মাটি ফেলে গেছে। বর্ষায় এ রাস্তায় চলা অসম্ভব হয়ে যাবে।”
এখানেই শেষ নয়। বুধবার ওই ইউপি সদস্য সাইদুল মন্ডল টিআর প্রকল্পের ৭ জন শ্রমিককে দিয়ে তার নিজের মরিচ ক্ষেতে নিড়ানির কাজ করিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং সরকারি অর্থের অপব্যবহারের সরাসরি উদাহরণ।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার টিআর প্রকল্প জনগণের জন্য দেয়, মেম্বার যদি সেটা নিজের খেতের কাজে ব্যবহার করে, তাহলে আমরা কোথায় যাবো?”
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বলেন, “কোনো কাজে অনিয়মের সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপজেলার অনেকেই বলেছেন, এই অনিয়ম শুধু একটি প্রকল্পেই নয়, প্রায় প্রতিটি কাজেই এমন ‘দেখনদারি’ কাজ চলছে। তারা স্বচ্ছ তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।