1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
তাফসির মাহফিলে চুরি, মুঠোফোন ও সোনার গয়না হারিয়ে ৫০০টির বেশি জিডি - RT BD NEWS
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

তাফসির মাহফিলে চুরি, মুঠোফোন ও সোনার গয়না হারিয়ে ৫০০টির বেশি জিডি

যশোর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫
মিজানুর রহমান আজহারি

যশোরে মিজানুর রহমান আজহারী ও আহমাদুল্লাহর মতো খ্যাতিমান বক্তাদের তিন দিনব্যাপী ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে হাজারো মানুষের মুঠোফোন ও সোনার গয়না হারানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত তিন দিনে যশোর কোতোয়ালি থানায় প্রায় ৫০০টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।

গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত শহরতলি পুলেরহাটের আদ্‌-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় এ তাফসিরুল কোরআন মাহফিল। মাহফিলের শেষ দিন শুক্রবার রাতে মিজানুর রহমান আজহারী ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আহমাদুল্লাহর ওয়াজ শুনতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামে। এ সময় চুরির ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

মাহফিল শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাঠ থেকে বের হওয়ার সময় পদদলিত হয়ে ২১ জন আহত হন। যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ১০ জন বাড়ি ফিরে গেলেও ১১ জন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাহফিল চলাকালে হাজারো মানুষের মুঠোফোন, সোনার গয়না এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিস চুরি হয়ে যায়। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত যশোর কোতোয়ালি থানায় এসব ঘটনার বিষয়ে ৫০০টির বেশি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।

মায়ের দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন হারিয়ে থানায় জিডি করতে আসেন রূপদিয়ার ইব্রাহিম হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমার মা মহিলা প্যান্ডেলে বসে আজহারী হুজুরের ওয়াজ শুনছিলেন। একপর্যায়ে গলায় হাত দিয়ে দেখেন হার নেই। তাই থানায় জিডি করতে এসেছি।’

স্ত্রীর গলার চেইন হারিয়ে নওয়াপাড়ার বাসিন্দা হজরত হোসেনও থানায় জিডি করতে আসেন। তিনি বলেন, ‘ওয়াজ মাহফিলে এভাবে চুরি হওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে। চোরেরা এই সুযোগটাই নিয়েছে। কর্তৃপক্ষের আরও ভালো ব্যবস্থাপনা নেওয়া উচিত ছিল।’

বেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, ‘যশোরের ইতিহাসে এত বড় মাহফিল আর হয়নি। ওয়াজ মাহফিলে গিয়েছিলাম ইমান-আমল ঠিক করতে। কিন্তু চোরেরা তাদের ব্যবসা খুঁজে নিল। হাজার হাজার মানুষের মুঠোফোন হারানোর খবর মাঠেই শুনেছি। দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই এসেছেন। কিন্তু জিডি করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় জিডি করতে পারেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা মাহফিলে এসে চুরির মতো কাজ করছে, তারা মাহফিলের সৌন্দর্য নষ্ট করছে। তাদের কঠিন বিচার হওয়া উচিত।’

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক জানান, ‘তিন দিনব্যাপী এই মাহফিলে পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে। এর মধ্যে অসংখ্য মানুষের মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার হারিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। থানায় অনেকেই সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।’

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এত বড় ধর্মীয় মাহফিলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা উচিত ছিল। চুরি ও পদদলনের মতো ঘটনা এড়াতে পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট