1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ও জননিরাপত্তা কমিশনের দাবি - RT BD NEWS
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০২:১৬ অপরাহ্ন

পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ও জননিরাপত্তা কমিশনের দাবি

আরটি বিডিনিউজ অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪
বাংলাদেশ পুলিশ

বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কার নিয়ে আলোচনায় নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে, যেখানে পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে জেলা ও মহানগর এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব উঠেছে। পুলিশ সংস্কার কমিশন তাদের খসড়া প্রতিবেদনে এ দাবি তুলেছে এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ঠেকাতে একটি স্বাধীন জননিরাপত্তা কমিশন গঠনের কথাও বলেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত খসড়া প্রতিবেদনে এসব প্রস্তাব করা হয়েছে, যা আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে চূড়ান্তভাবে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় গত ৩ অক্টোবর, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রম এবং শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনার জন্য। কমিশনটি সাবেক সচিব সফর রাজ হোসেনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যবিশিষ্ট। তাদের কাজ ছিল পুলিশের সংস্কারের বিভিন্ন দিক নিয়ে সুপারিশ তৈরি করা। কমিশনের সদস্য আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, “খসড়া প্রতিবেদনটি তৈরির আগে পুলিশের কাছ থেকে মতামত নেয়া হয়েছিল, যা এখন খসড়ামাত্র। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব প্রস্তাব না-ও থাকতে পারে।”

খসড়া প্রতিবেদনে পুলিশের যে প্রধান প্রস্তাবটি উঠে এসেছে, তা হলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পুলিশ বাহিনীর কাছে অর্পণ করা। পুলিশ আইন ১৮৬১-এর ধারা ৫ অনুযায়ী, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একজন ম্যাজিস্ট্রেটের পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন, তবে এটি সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। কমিশনের খসড়া প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, পুলিশ বাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আইজিপির ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা প্রয়োজন। এর ফলে আইজিপি নিজে এই ক্ষমতা অধস্তন কর্মকর্তাদের কাছে অর্পণ করতে পারবেন।

তবে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এই প্রস্তাবটি নিয়ে আপত্তি উঠেছে। কর্মকর্তারা বলছেন, গত জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে পুলিশের কর্মকাণ্ড বিতর্কিত হওয়ায় তাদের বিচারিক ক্ষমতা দিলে বাহিনী আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে।

পুলিশের কার্যক্রমে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে এবং বাহিনীর পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর জন্য একটি জাতীয় জননিরাপত্তা কমিশন গঠনের দাবি উঠেছে। খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ বাহিনীর কাজের মূল্যায়ন ও সদস্যদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের অনুসন্ধান করতে এই কমিশন কাজ করবে। কমিশনটির সদস্যদের মধ্যে থাকবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বা আইজিপি, সংসদ সদস্য, মানবাধিকারকর্মী এবং গণমাধ্যমকর্মী। এ ছাড়াও, কমিশনে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের আইজিপি থাকবেন।

পুলিশ বাহিনীর দক্ষতা বাড়ানোর জন্য খসড়া প্রতিবেদনে একটি পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে অপরাধের ধরন বদলেছে এবং নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, তাই একটি আলাদা পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি। তবে ২০২২ সালে এই বিষয়ে দাবি উঠলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

খসড়া প্রতিবেদনে পুলিশ সংস্কারের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন সুপারিশ রাখা হয়েছে। কমিশনের সদস্যদের মতে, পুলিশকে আরও পেশাদার ও জবাবদিহির আওতায় আনতে এসব সুপারিশ অনুসরণ করা উচিত। তবে, সুপারিশগুলো চূড়ান্ত প্রতিবেদন আসার আগে পরিবর্তন হতে পারে।

পুলিশ সংস্কার কমিশনের খসড়া প্রতিবেদনটি পুলিশের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দিচ্ছে। তবে, এটি নিয়ে বিতর্কও রয়েছে, বিশেষ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা এবং জননিরাপত্তা কমিশন নিয়ে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা পড়লে, এটি দেশের পুলিশ সংস্কারে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট