রাজধানীর বনানীর একটি আবাসিক এলাকার ছয়তলা বাসা থেকে মারিয়া আক্তার (১৬) নামে এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে বনানী ৪৯ নম্বর বাসার ৯ নম্বর রোডের এফ ব্লকের একটি ছয়তলা ভবন থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
মারিয়া আক্তারের বাড়ি মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার বিল্লাপাড়া গ্রামে। তার বাবা বাহারুল ইসলাম একজন রিকশাচালক এবং মা মনিরা খাতুন গৃহিণী। দেড় বছর ধরে মারিয়া বনানীর ওই বাসায় গৃহকর্তা মোমিন আলী ও তার স্ত্রী জাহানারা আলীর বাসায় কাজ করছিলেন।
মারিয়ার ফুফু নাজমা পারভীনের মতে, মারিয়া তার ছোট বোনকে কাজে পাঠাতে বাধা দিয়েছিল, যা নিয়ে মা-মেয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া চলছিল। এই পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকেই হয়তো মানসিক চাপে পড়ে মারিয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বুধবার রাত ৯টার দিকে সবার অজান্তে ছয়তলার একটি কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে সে ফাঁস দেয়।
বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াসির আরাফাত বলেন, “পুলিশ খবর পেয়ে মধ্যরাতে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ভোরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।”
মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।