চীন সম্প্রতি তিব্বতের ইয়ারলুং জাংবো (ব্রহ্মপুত্র) নদে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে, যা ভারতীয় সীমান্তের কাছে অবস্থিত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং চীনকে নিজেদের মতামত জানিয়ে দিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, চীনকে এই প্রকল্পের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগ জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, “অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে ভাটির দেশেরও কিছু অধিকার রয়েছে,” এবং সেই অধিকার ও স্বার্থের বিষয়ে ভারতের পর্যবেক্ষণ জারি আছে।
তিনি আরও জানান, “এই ধরনের প্রকল্প গ্রহণের আগে ভাটির দেশের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন,” এবং ভারতের সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
চীন কয়েক দিন আগে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তের কাছে তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র নদে একটি বিশাল বাঁধ নির্মাণের জন্য ১৩৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এই বাঁধটি হিমালয়ের এক গভীর গিরিখাতে নির্মাণ করা হবে, যেখানে নদী ভারতের অরুণাচল রাজ্যে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে চলে যায়।
এই বাঁধটি চীনের ‘থ্রি গর্জেস’ বাঁধের থেকেও অনেক বড় এবং পৃথিবীর বৃহত্তম বাঁধ হিসেবে পরিচিত হবে। এটি তিব্বতের নিংট্রি (নিয়ংচি) অঞ্চলের মেদোগ (চীনা ভাষায় মোতুও) বিভাগে নির্মিত হবে।
এছাড়াও, চীন সম্প্রতি লাদাখের কিছু এলাকা নিয়ে হোটন প্রদেশে দুটি নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে। ভারত এই ঘোষণাও কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, “এলাকা ভারতের ছিল, ভারতেরই থাকবে,” এবং চীনের এই সিদ্ধান্ত ভারতের সার্বভৌমত্বকে কোনোভাবে প্রভাবিত করবে না।
ভারত কূটনৈতিকভাবে চীনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে এবং সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।