মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসায় এ দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তবে দেশের অন্যান্য এলাকায় এখনো হালকা শীত বিরাজ করছে।
গতকাল মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার উপকূলীয় এলাকায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হলেও তা ছিল স্বল্পস্থায়ী। সেই সঙ্গে রোদ ও কুয়াশার লুকোচুরি চলতে দেখা গেছে। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি মাসের বাকি সময়ে দেশজুড়ে তাপমাত্রা শৈত্যপ্রবাহের পর্যায়ে নামার সম্ভাবনা কম। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দু-একটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, সাগর থেকে মেঘ প্রবেশের ফলে শীতল বাতাসের প্রবাহে সামান্য বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
নতুন বছরের শুরুতেই জানুয়ারির বেশির ভাগ সময় দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে তীব্র শীতের প্রভাব বেশি থাকবে।
আজ বুধবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। বিশেষ করে নদীতীরবর্তী এলাকাগুলোতে কুয়াশার প্রভাব বেশি থাকবে।
কুয়াশার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে বায়ুর মান খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এয়ার ভিজ্যুয়ালের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গতকাল বেশির ভাগ সময় রাজধানী ঢাকার বায়ুর মান ছিল অস্বাস্থ্যকর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কুয়াশা ও মেঘলা আকাশের কারণে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সকলকে শীতকালীন আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আজ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। তবে বরিশাল, খুলনা এবং চট্টগ্রামের তাপমাত্রা কিছুটা কমে শীতের প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষকে শীতজনিত রোগবালাই থেকে সুরক্ষিত থাকতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।