মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল এবং আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজটি ২০২২-২৫ আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত। পরবর্তী দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ নভেম্বর এবং ২ ডিসেম্বর।
এই সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর ফলাফলের সঙ্গে ২০২৫ সালে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনের সমীকরণ জড়িত। সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে ধবলধোলাই করতে পারলেই সরাসরি খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে। তবে শুধু এই সিরিজ নয়, আগামী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজেও ভালো ফলাফল করতে হবে জ্যোতি বাহিনীকে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মিরপুরে কঠোর পরিশ্রম করছে বাংলাদেশ দল। শনিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু করেছে তারা। সকালে জিম সেশনের পর মূল মাঠে ফুটবল খেলে গা গরম করেন খেলোয়াড়রা। এরপর নেটে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন চালান। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা এই প্রস্তুতি সেশনে পুরোপুরি ব্যস্ত সময় কাটে তাদের।
পুরুষ ক্রিকেটের ব্যস্ততা না থাকায় শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম এখন পুরোপুরি নারীদের দখলে। অন্যদিকে, প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসা আয়ারল্যান্ড দলও শনিবার দুপুরে নিজেদের প্রথম দিনের অনুশীলন সেশনে অংশ নেয়।
ওয়ানডে সিরিজ শেষ হলে বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ড নারী দল সমান সংখ্যক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে। এই সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। দুটি সিরিজেই জয়ের জন্য স্বাগতিকদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে।
পুরুষ জাতীয় দল বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে। এছাড়া এনসিএলের ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলা চলছে সিলেট, বগুড়া ও কক্সবাজারে। এই ফাঁকা সময়টিতে নারীদের অনুশীলনের জন্য শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের পুরো সুবিধা ব্যবহার করার সুযোগ মিলেছে।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ হলেও তাদের প্রস্তুতিতে কোনো কমতি নেই। আসন্ন সিরিজে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারলে আগামী বছরের বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করার পথ সুগম হবে।