1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
আমদানির খরচ ২১ টাকা ৬০ পয়সা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা আলু! - RT BD NEWS
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০৭:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইরানের নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘কাসেম বাসির’ উন্মোচন খালেদা জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তনে ডিএমপির বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ১০টি ডাকাতি ঘটনায় ভয়াবহ পরিস্থিতি গণতান্ত্রিক সংস্কার ও আত্মনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার সময় এখনই কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার অপতথ্য ও গুজব সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে: মাহফুজ আলম ফতুল্লায় অনুমতি ছাড়াই মেলার নামে জুয়া ও মাদকের আসর জামালপুরে ধানে ব্লাস্ট রোগ: বিআর-২৮ ও ২৯ জাতের ধান ক্ষতির মুখে এপ্রিল ২০২৫-এ রেমিট্যান্সে বড় উল্লম্ফন: এসেছে ২৭৫ কোটি ডলার মুজিবনগর সীমান্তে ১০ বাংলাদেশি আটক

আমদানির খরচ ২১ টাকা ৬০ পয়সা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা আলু!

আরটি বিডিনিউজ অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আল্টিমেটাম

বাংলাদেশের বাজারে আলুর মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ জনগণের জন্য বড় ধরনের আর্থিক চাপ সৃষ্টি করেছে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও আলুর দাম সাড়ে তিনগুণ বেড়ে গেছে। ভারত থেকে ২১ টাকা ৬০ পয়সা কেজি দরে আমদানি করা আলু খুচরা বাজারে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আলুর দাম বাড়ানোর পেছনে মূলত দুটি বড় সিন্ডিকেট কাজ করছে। প্রথমত, আমদানিকারক এবং শ্যামবাজারের আড়তদাররা মুনাফা লাভের জন্য সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছেন। তারা আমদানি করা ২১.৬০ টাকার আলুকে দুই পর্যায়ে মুনাফা যোগ করে আড়তদারদের কাছে ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রির নির্দেশ দিয়েছেন। আড়তদাররা সেই দামে আলু খুচরা বাজারে ৭৫ টাকায় বিক্রি করছেন।

দ্বিতীয়ত, দেশের হিমাগারগুলোতেও চলছে আরেকটি সিন্ডিকেট। কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু উচ্চ দামে ছাড় করা হচ্ছে। পুরোনো আলু যা হিমাগারে ৩৫-৪০ টাকায় সংরক্ষিত ছিল, তা বর্তমানে ৬০-৬৫ টাকায় ছাড়া হচ্ছে। ফলে পাইকারি বাজারে সেই আলুর দাম আরও বেড়ে খুচরা পর্যায়ে ৭৫-৮০ টাকায় পৌঁছাচ্ছে। এক মাস আগেও এই আলু ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হতো।

বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, “সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারের কাছে সব তথ্য থাকা সত্ত্বেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে গাফিলতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।” বাজারে নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে ভোক্তারা গলাকাটা দামে আলু কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

বাজারে কৃষকের নতুন আলু আসতে শুরু করেছে। পাশাপাশি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আলু আমদানিতে শুল্কহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে। তবে এর পরও বাজারে আলুর দাম কমছে না। মূলত কমিশন বাণিজ্যে সিন্ডিকেটের কারণে ভোক্তারা এর সুফল পাচ্ছেন না।

কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা মো. রবিউল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শীত আসার আগে প্রতি বছর ২৫ টাকার নিচে নেমে আসে আলু। এই সময় এক কেজি আলু ৭৫ টাকা মানে, এটি একটি অরাজকতা। এগুলো কী দেখার কেউ নেই?”

সরকারকে সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজারে আমদানি ও স্থানীয় সরবরাহের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি। আড়তদার এবং হিমাগার মালিকদের অবৈধ মুনাফা নিয়ন্ত্রণে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে গাফিলতির কারণে ভোক্তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সরকার যদি দ্রুত এবং কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তবে এই অরাজকতা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে জনজীবনে আরও সংকট সৃষ্টি করবে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট