বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার না করে নির্বাচন হলে তা ‘খুনি হাসিনার ভোট ডাকাতির প্রহসন’ ছাড়া আর কিছুই হবে না। এজন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের আগে জরুরি সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে। অন্যথায়, নির্বাচনের গোপন উদ্দেশ্য নিয়ে বিলম্ব করলে তার ফল হবে ভয়াবহ এবং আত্মঘাতী।বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে ইশরাক এসব কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের জনগণ বিগত ১৬ বছর ধরে মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে আসছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র এবং রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তন না হওয়ার ফলে দেশে ভয়াবহ জুলুম, নির্যাতন, বৈষম্য এবং মানব স্বাধীনতা হরণের ঘটনা ঘটেছে। এর বিরুদ্ধে জনগণের রক্ত ঝরিয়ে ও জীবন দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি তৈরি করা হয়েছে।
ইশরাক বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ছাত্র, জনতা ও সিপাহির সম্মিলিত প্রয়াস চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছেছে। এর প্রধান লক্ষ্য হলো ‘হাসিনা খেদাও এবং গণতন্ত্র মুক্ত করো’। তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্রের প্রশ্নে এক চুলও ছাড় দেওয়া হবে না।
ইশরাক হোসেন আরও বলেন, কোনো গোষ্ঠী যদি শেখ হাসিনার মতো ভিন্ন কোনো চিন্তা করে, তবে তারা যেন সতর্ক হয়ে যায়। প্রয়োজনে আরও একটি যুদ্ধ হবে। তিনি উল্লেখ করেন, একজন আবু সাঈদের মতো হাজারো মানুষ নিজেদের জীবন দিতে প্রস্তুত। নির্বাচন বিলম্বিত করে কোনো গোপন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হলে তারাই সবার আগে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
ইশরাক বলেন, “আমার হাজার হাজার ভাইবোন গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে। তাদের আত্মত্যাগের প্রতিদান দিতে প্রতিটি হত্যা এবং প্রতিটি ফোঁটা রক্তের প্রতিশোধ নেওয়া হবে।”
বিএনপির এই নেতার মতে, জনগণ, রাজনৈতিক দল এবং সর্বসাধারণের একমাত্র লক্ষ্য হলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচন আয়োজন করলে তা জনগণের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা হবে।