ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া হিজলতলা বাজার এলাকায় আতশবাজির ফুলকি থেকে একটি কক্ষে আগুন লেগে মালামাল পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হিজলতলা বাজার এলাকার আবদুর রাজ্জাকের মালিকানাধীন তিনতলা ভবনের নিচতলায় কয়েকজন কিশোর মোমবাতি দিয়ে আতশবাজি ফাটাচ্ছিল। আতশবাজির আগুনের ফুলকি কক্ষের বিছানায় পড়লে আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে আগুন পুরো কক্ষে ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার পর এলাকাবাসী প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় ভবনের নিচতলায় থাকা বেশ কিছু মালামাল পুড়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে ভেবেছিলাম গ্যাসলাইনের ছিদ্র থেকে আগুন লেগেছে। পরে জানতে পারি, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কয়েকজন কিশোর আতশবাজি ফোটাচ্ছিল। সেই থেকেই নাকি আগুন লেগেছে।’
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের কেরানীগঞ্জ জোনের ব্যবস্থাপক (বিপণন আবাসিক) নাজির হোসেন জানান, গ্যাসলাইনের ছিদ্র থেকে আগুন লাগার খবর পেয়ে তিতাসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তবে তদন্ত করে দেখা গেছে, গ্যাসলাইনের কোনো সমস্যা ছিল না। আতশবাজির আগুনের ফুলকি থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের কেরানীগঞ্জ স্টেশনের কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাজল বলেন, ‘একটি কক্ষে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তবে ফায়ার সার্ভিস সেখানে পৌঁছানোর আগেই এলাকাবাসী আগুন নেভাতে সক্ষম হন।’ তিনি আরও বলেন, আগুনের সঠিক কারণ নির্ধারণে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার বিষয়ে ভবনের মালিক আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। নতুন বছরের উৎসব উদযাপন করতে গিয়ে এই ধরনের অনিয়ন্ত্রিত কার্যক্রম ভবিষ্যতে বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং এলাকাবাসীকে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আতশবাজি বা অন্য কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রম চালানোর সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।