নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি যাওয়ার পথে এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। একই সময়, গৃহবধূর শ্বশুরকেও ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক সাইফুল ইসলাম (ওরফে খালেদ) নিহত গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির বাসিন্দা এবং তার দেবর। নিহত গৃহবধূর বড় বোন জানান, ১৬ বছর আগে তার বোনের বিয়ে হয়। তার বোন দুই সন্তানসহ সংসার চালাচ্ছিলেন। এক বছর আগে তার বোনের মুঠোফোন নষ্ট হয়ে গেলে, সাইফুলের কাছে মুঠোফোন মেরামত করতে পাঠানো হয় তার বড় ছেলে। মেরামতের পর সাইফুল ওই মুঠোফোনে থাকা কিছু ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নিয়ে নেয় এবং সেগুলি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার বোনের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা আদায় করে। এরপর সাইফুল তার বোনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ানোর চেষ্টা করেন, তবে এতে ব্যর্থ হন। অভিযোগ, সাইফুল সেই পরাজয়ের পর ক্ষিপ্ত হয়ে গৃহবধূকে হত্যা করেন।
আজ সকাল ১০টার দিকে, গৃহবধূ তার শ্বশুরের সঙ্গে বাবার বাড়ি যাওয়ার পথে অটোরিকশা চলার সময় সাইফুল তাদের গতিরোধ করে। এরপর গৃহবধূকে ছুরিকাঘাত করে এবং তার শ্বশুরকেও আহত করে। ঘটনাস্থলে গৃহবধূর মৃত্যু হয়। আহত শ্বশুর বর্তমানে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান জানান, গৃহবধূ ও তার শ্বশুরের শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে সাইফুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন এবং তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।