পিরোজপুর শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির তিন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জেলা বিএনপি স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মীদের দায়ী করেছে। পুলিশের ধারণা, রাকিব নামের এক তরুণকে আটক করা হলেও রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত হয়নি।
আহতদের মধ্যে পিরোজপুর পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান (২৪), কর্মী কে এম ফেরদৌস বাপ্পী শেখ (২২) এবং পৌর কৃষক দলের সহসভাপতি শাহীন গাজী (৫৪) রয়েছেন। তাদের মধ্যে ফেরদৌসের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জানান, পূর্ব থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক চলছিল। সেই ঝামেলার জেরে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথার মাধ্যমে তর্কের পর রাকিব নামের এক তরুণ ব্লেড দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এ ঘটনায় আহতরা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা। তরিকুল ইসলাম বলেন, “এটি অভ্যন্তরীণ বিরোধের ফল, যা নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করা যেত।”
অন্যদিকে, আহত মেহেদী হাসান জানান, গত কয়েক দিন ধরে পিরোজপুরের দেয়ালে ছাত্রলীগের কর্মীরা “জয়বাংলা” স্লোগান লিখে আসছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হলে ছাত্রলীগের প্রায় ৩০ জন কর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়। মেহেদী হাসান দাবি করেন, হামলাকারীরা তাদের ওপর সার্জিক্যাল ব্লেড দিয়ে আক্রমণ করে।
এ ঘটনার পর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন অভিযোগ করেছেন যে, ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের কর্মীরা এই হামলার পেছনে রয়েছে। তিনি বলেন, “আগের হামলাগুলোর সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তারাই আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে।”
তবে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি জানান, এটি ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফল এবং বর্তমানে ছাত্রলীগের কোনো কর্মী সেখানে উপস্থিত ছিল না। রাকিব নামের তরুণের ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সোবাহান জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং রাকিবকে আটক করা হয়েছে। তবে, তার রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।