বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে আগ্রাসী ভূমিকায়, বাঘ যেমন হরিনকে ধরতে সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন ঠিক তেমনি ২য় টেস্টে জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কের উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় ছিলেন লিটন দাস, তারপর যেই না সুযোগ পেয়েগেলেন তখনই ডানদিকে বাঘের মতো উড়ে গিয়ে বলটা ধরে ফেললেন লিটন দাস।
লিটনের গ্লাভসে বল জমা হতেই ড্রেসিংরুমের পথে কেভম হজ, আসলে ক্যাচটির মূল কারিগর নাহিদ রানা। পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পরাস্ত হয়েই উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটার। আর রানার উইকেট পাওয়ার চেষ্টাকে দারুণ ক্ষিপ্রতায় পূর্ণতা দিলেন লিটন। ৩ রানে হজ ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে জীবনও পেয়েছিলেন। আউট হওয়া ৪৫তম ওভারের চতুর্থ বলে তাসকিন আহমেদ ক্যাচ মিস করেছিলেন। তার আগে আরো একটি উইকেট নিয়েছেন রানা। এতে করে দিনের প্রথম সাফল্য পেতেও খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে।
তৃতীয় দিনের ষষ্ঠ ওভারে উইকেট এনে দেন রানা। ফেরান সেট ব্যাটার ক্রেইগ ব্রাফেটকে। জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে গতদিনের মতো আজও শুরুতেই গতির ঝড় তোলেন রানা লাঞ্চের আগে হাসান মাহমুদের জোড়া আঘাত, সঙ্গে অসম বাউন্স তো ছিলোই। তাতেই পরাস্ত হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ব্রাফেট।
ইনিংসের ৪২তম ওভারের তৃতীয় বলটি বাড়তি বাউন্স পেলে গালিতে ধরা পড়েন ৩৯ রান করা ব্রাফেট। রানার জোড়া আঘাতের সঙ্গে উইকেট উদযাপনে যোগ দেন তাসকিন। ২ রান করা আলিক অ্যাথানাজেকে নিচু হওয়া এক বলে বোল্ড করেন তিনি। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০০ রান। ৩১ রানে অপরাজিত থাকা কেসি কার্টিকে সঙ্গ দিচ্ছেন ব্যাটিংয়ে নামা জাস্টিন গ্রেভস।
প্রতিপক্ষের ৪ উইকেটের ৩ টিই নিয়েছেন রানা। ১০৫ রানে তাইজুলের প্রথম শিকারে ৫ম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। রানার পর হাসান মাহমুদের জোড়া উইকেটে চালকের আসনে বাংলাদেশ ১১৯ রানে ৭ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় ১২৩ রানে নাহিদ রানার বলে ক্যাচ দেন মিরাজের হাতে ৮ম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ রানার ৪র্থ শিকার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় ৬১.৪ মিরাজের বলে জীবন পায় ক্রেমার রোচ, ক্যাচ অবশ্য কঠিন ছিল লাফ দিয়েছে রানা তবে মিস করলেন সীমানা ছাড়িয়ে ৪ রান। ৩য় দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ লাঞ্চে যান ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে, বাংলাদেশ ২৯ রানে এগিয়ে আছে লিডের সম্ভাবনা রয়েছে।