1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
বাংলাদেশকে লাখ লাখ ডলার জরিমানা দিতে হচ্ছে কেন? - RT BD NEWS
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০৭:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঈদুল আজহা ২০২৫: ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ২১ মে ইরানের নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘কাসেম বাসির’ উন্মোচন খালেদা জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তনে ডিএমপির বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ১০টি ডাকাতি ঘটনায় ভয়াবহ পরিস্থিতি গণতান্ত্রিক সংস্কার ও আত্মনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার সময় এখনই কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার অপতথ্য ও গুজব সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে: মাহফুজ আলম ফতুল্লায় অনুমতি ছাড়াই মেলার নামে জুয়া ও মাদকের আসর জামালপুরে ধানে ব্লাস্ট রোগ: বিআর-২৮ ও ২৯ জাতের ধান ক্ষতির মুখে এপ্রিল ২০২৫-এ রেমিট্যান্সে বড় উল্লম্ফন: এসেছে ২৭৫ কোটি ডলার

বাংলাদেশকে লাখ লাখ ডলার জরিমানা দিতে হচ্ছে কেন?

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
রেমিট্যান্স

বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভর করে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরির কারণে বাংলাদেশকে কমিটমেন্ট ফি বাবদ লক্ষ লক্ষ ডলার পরিশোধ করতে হচ্ছে। মূলত প্রকল্পের বিলম্বিত বাস্তবায়ন ও অদক্ষতা এ ব্যয় বৃদ্ধি করছে।

কমিটমেন্ট ফি হলো এমন একটি চার্জ যা ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমোদিত কিন্তু অব্যবহৃত অর্থের জন্য ধার্য করা হয়। সাধারণত ঋণচুক্তির ৬০ থেকে ৯০ দিন পর এ ফি কার্যকর হয়। ঋণদাতারা ঋণগ্রহীতার জন্য তহবিল সক্রিয় রাখার দায় হিসেবে এটি ধার্য করে। এডিবি, এআইআইবি এবং বিশ্বব্যাংক প্রভৃতি আন্তর্জাতিক ঋণদাতারা কমিটমেন্ট ফি ধার্য করে থাকে।

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ২০১১ সালে প্রকল্পটির জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছিল। প্রকল্পটি ২০১৭ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চারবার মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত টেনে নেওয়া হয়েছে।

এর ফলে ০.৯৪ শতাংশ বা ২.৭৩ মিলিয়ন ডলার কমিটমেন্ট ফি গুনতে হয়েছে বাংলাদেশকে। একইসঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিময় হারের ওঠানামায় ঋণের খরচ ৩ শতাংশ বেড়েছে।

সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কোঅপারেশন রেলওয়ে কানেক্টিভিটি উদ্যোগের আওতায় পরিচালিত এ প্রকল্পেও বিলম্বিত বাস্তবায়নের কারণে ৩.২৪ মিলিয়ন ডলার বা ১.১৮ শতাংশ কমিটমেন্ট ফি ধার্য করা হয়েছে।

সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কোঅপারেশন (সাসেক) প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রকল্পে কমিটমেন্ট ফি ছিল ০.৩৭ মিলিয়ন ডলার বা ০.১৮ শতাংশ। উন্নত বাস্তবায়ন দক্ষতার কারণে এটি অন্যান্য প্রকল্পের তুলনায় সর্বনিম্ন।

এডিবির মূল্যায়ন অনুযায়ী, প্রকল্পে বিলম্বিত বাস্তবায়নের প্রধান কারণসমূহ হলো, প্রকল্প কাঠামো ও নকশায় পরিবর্তন, জমি অধিগ্রহণে জটিলতা, ঠিকাদারদের ধীরগতি, কোভিড-১৯-এর প্রভাব।

এডিবির ২০১২ সালের গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের ব্যয় ৯৪ শতাংশ বেড়ে ৪৯৪ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। নির্মাণ ব্যয়ের কম মূল্যায়ন এবং দেরিতে বাস্তবায়নের কারণে এ ব্যয় বেড়েছে।

২০২৪ সাল নাগাদ ১৫টি প্রকল্পের জন্য ২৩.৫৪ মিলিয়ন ডলার কমিটমেন্ট ফি পরিশোধ করা হয়েছে,  ২৩টি প্রকল্পে ১১.৫৬ মিলিয়ন ডলার কমিটমেন্ট ফি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। ৯টি এসইউএফ ঋণের জন্য ৫.৭৬ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘায়িত সময়সীমা ও অদক্ষতা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। প্রকল্প পরিচালকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রকল্প সম্পন্ন করার ওপর জোর দিতে হবে। নির্মাণ ব্যয় এবং বাস্তবায়ন সময়সীমার সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এবং বিলম্ব রোধে প্রকল্প পরিচালকদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে এ ধরনের বিলম্ব কমিয়ে আনলে বৈদেশিক ঋণের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হবে এবং অর্থনৈতিক চাপ কমবে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট