বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য ৬০০ মিলিয়ন ডলারের নীতি-ভিত্তিক ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ ঋণ দিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সরকারি বিনিয়োগের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়নে কাঠামোগত সংস্কার কার্যক্রম চালানো হবে।
এডিবি’র বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স টিম লিডার গোবিন্দ বর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, প্রতি ডলার ১১৯ টাকা ৪৬ পয়সা হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। এ অর্থ দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, স্বচ্ছতা, এবং সুশাসনের উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে।
এডিবি জানিয়েছে, এই ঋণের আওতায় বাস্তবায়িত হবে একটি কাঠামোগত সংস্কার প্যাকেজ, যা দেশীয় সম্পদ সংগ্রহ এবং সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে:
বাংলাদেশের রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। এ ঋণ দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের সক্ষমতা বাড়াবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা উন্নত করবে। ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পের স্বচ্ছতা এবং দক্ষতা বাড়ানো হবে।দেশের নিয়ন্ত্রক পরিবেশ সহজ করার পাশাপাশি ব্যবসায়ী পরিবেশ উন্নত করতে একটি অনলাইন সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে। এতে ১৩০টিরও বেশি পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও আকৃষ্ট করবে। মালিকানাধীন উদ্যোগগুলোতে সুশাসনের উন্নয়ন এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের জন্য এ অর্থ ব্যয় হবে।
এডিবি’র আঞ্চলিক প্রধান অর্থনীতিবিদ আমিনুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দ্রুত উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে এডিবি এই ঋণের মাধ্যমে পাশে আছে। আমাদের লক্ষ্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সুশাসন, এবং অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।”
এডিবি’র ঋণ দেশের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি, অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, এবং দেশের আর্থিক কাঠামো আরও শক্তিশালী করার প্রক্রিয়ায় একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।