আগস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পর বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে, দেশের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ মন্তব্য করেছেন যে, এই টানাপোড়েনের কোনো প্রভাব বাংলাদেশের বাণিজ্যে পড়বে না। তিনি জানান, এই সম্পর্কের সমস্যা একমাত্র রাজনৈতিক এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
বাণিজ্যিক কার্যক্রমে রাজনৈতিক বিভ্রান্তি না হওয়া নিশ্চিত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীরা রাজনীতিবিদের বক্তব্যে বিভ্রান্ত হন না। তাদের লক্ষ্য থাকে পণ্য বিক্রি করা এবং দেশের জন্য সস্তায় পণ্য সরবরাহ করা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সেই দেশ থেকে পণ্য কিনবে যেখানে তারা কম দামে পাবে, সুতরাং ভারতের সঙ্গে চলমান রাজনৈতিক সমস্যা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না।
চাল আমদানিতে ভারত, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমানে ভারত, মিয়ানমার এবং ভিয়েতনাম থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। রমজানে পণ্যের কোনো সংকট হবে না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। তবে, বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে।
রমজানে পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ রমজানের জন্য খেজুর, তেল এবং মসুর ডাল আমদানি করা হচ্ছে এবং এসব পণ্যের ভ্যাট কমানো হচ্ছে। এতে করে, বাজারে মূল্যস্ফীতির কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আসবে এবং সাধারণ মানুষ সুবিধা পাবেন।
চাঁদাবাজি এবং সিন্ডিকেটের সমস্যা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আরো জানান, দেশের বাজারে সিন্ডিকেট বন্ধ করা গেলেও রাজনৈতিক চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, “পণ্যের দাম কমানোর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাঁদাবাজির প্রভাব পড়ে।”
এছাড়া, দেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম সচল রাখার জন্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে তিনি আশাবাদী যে, সামগ্রিকভাবে রমজানে পণ্য সংকট এবং মূল্যবৃদ্ধি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।
এই মন্তব্যের মাধ্যমে অর্থ উপদেষ্টা নিশ্চিত করেছেন যে, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নির্বিঘ্নে চলবে এবং জনগণের পণ্য সংকটের কোনো বড় সমস্যা হবে না।