গত ১০ জানুয়ারি, শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতীয় পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ১২ বাংলাদেশি নাগরিককে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এর আগে, তারা ভারতের দমদম সেন্ট্রাল কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করেছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে ভারতের সীমান্তে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগ রয়েছে, যাদের মাধ্যমে দালালরা তাদের ভারতে প্রবেশ করায়।
বেনাপোল চেকপোস্টে হস্তান্তর হওয়া ১২ জন বাংলাদেশির মধ্যে ৩ জন হলেন আসামি, যাদের বিরুদ্ধে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে সাতক্ষীরার নলকুড়া গ্রামের আশিকুর রহমান (২৫), গাজীপুরের টঙ্গী থানার পূর্ব আগ্রাপুর বুনিয়াপাড়া গ্রামের সুমন সরকার (৩০), এবং নরসিংদীর রায়পুরা থানার কাসারালকান্দি গ্রামের ওমর ফারুক (২৫) রয়েছেন। তারা ভারতে পালিয়ে গিয়ে বিভিন্ন মামলা ও সাজা ভোগ করেন।
অন্যদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার বনিপুর গ্রামের মিজান শেখ (২৮), খুলনার পাইকগাছা থানার কাশেম নগর গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম (২৫), মাদারীপুরের রাজৈর থানার ডাকছিন চান্দাপুটি গ্রামের বেলাল মোল্লা (২৮), নড়াইলের বাগাডাঙ্গা গ্রামের রেজিনা খাতুন (২৫), সাগারি ফকির (২৮), বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ থানার কালীবাড়ি গ্রামের রবিউল হাওলাদার (২৫), মোকসেদ হাওলাদার (৩০), সাতক্ষীরার আগরদিয়া গ্রামের রুবেল গাজী (২৫), এবং খালিদ হোসেন (২৫) দেশে ফিরেছেন।
গাজীপুরের সুমন সরকার, নরসিংদীর ওমর ফারুক এবং খুলনার রিয়াজুল ইসলামের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলা থেকে বাঁচতে তারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের পুলিশ পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম হোসেন জানান, এই ১২ বাংলাদেশিকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে হস্তান্তর করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানাপুলিশ তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ ধরনের ঘটনা অব্যাহত থাকলে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যথাযথ সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে।