পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে বাজারে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভোজ্যতেল সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে ভোজ্যতেলের কোনো সংকট হবে না বলে আশ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর সংগঠনটি আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাজারে সরবরাহ–ঘাটতির গুজবে সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে তারা যেন আতঙ্কিত হয়ে প্রয়োজনের বেশি ভোজ্যতেল না কেনেন, সে বিষয়ে সতর্ক করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে, ফলে সংকটের সুযোগ নেই। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী যদি মজুতদারির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করেন, তবে তা দ্রুত কেটে যাবে। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের দাম স্থিতিশীল থাকায় অস্বাভাবিক মুনাফার সুযোগ নেই।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, টি কে গ্রুপ এবং বাংলাদেশ এডিবল অয়েল রমজানের চাহিদার তুলনায় বেশি ভোজ্যতেল আমদানি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এই তেল আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে বাজারে আসবে, যা বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, ভোজ্যতেলের সংকট নিরসনে তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছে। তারা সরকারকে বাজার তদারকি আরও জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছে, যাতে সরবরাহ ও দামের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।