বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেছেন, জনগণ ও রাজনৈতিক দলের আত্মত্যাগকে অস্বীকার করে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো যদি কারা নির্বাচিত হবে তা নির্ধারণ করে দেয়, তাহলে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হুমকির মুখে পড়বে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদের একটি সমিতি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রুহুল কবির রিজভী উল্লেখ করেন, বিএনপিকে ভাঙার জন্য সরকারের অভ্যন্তরে ক্ষীণ প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে বলে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে তিনি জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
সচিবালয়ে আগুনের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নথি চাওয়ার পরই এই আগুনের ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। এটি পরিকল্পিত কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক প্রণীত কালাকানুনের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের যে আত্মত্যাগ, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে সাইবার সুরক্ষা আইনের সঙ্গে আগের আইনের কোনো পার্থক্য নেই। বরং এটি অধিকতর নিয়ন্ত্রণমূলক এবং এর মাধ্যমে জনগণের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।
আলোচনা সভায় ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। রিজভী বলেন, ‘ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হয়েও শেখ হাসিনার মতো একজনকে আশ্রয় দেয়, যা নৈতিকতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ভারতের নীতি শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাংলাদেশে বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের নতুন নেতৃত্বকে বিশ্ব সম্প্রদায় স্বীকৃতি দিলেও ভারত তা করতে দেরি করেছে।
রিজভী আহ্বান জানান, জনগণ যেন সরকারের স্বেচ্ছাচারী নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকে। তিনি বিএনপির আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।