বাংলাদেশ সচিবালয়ে সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি নাশকতা কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি মনে করে, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হতে পারে। একই সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদাসীনতা ও অসতর্কতাও এই ঘটনার জন্য দায়ী কি না, তা তদন্তের দাবি জানিয়েছে দলটি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার দলটির পক্ষ থেকে এই প্রতিক্রিয়া জানান।
মিয়া গোলাম পরওয়ার সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক মন্ত্রণালয়ের বিপুল ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “দেশের প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র হলো বাংলাদেশ সচিবালয়। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সেখানে এ ধরনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। সচিবালয়ে এই অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কি না, তা তদন্ত করা প্রয়োজন।”
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, “আমরা মনে করি, বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের অর্পিত দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন ও সতর্ক হওয়া দরকার।”
বিবৃতিতে দলটি দাবি করেছে, দেশবাসী মনে করছে যে এটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র। প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দুতে অগ্নিসংযোগের এই ঘটনায় সরকারের গাফিলতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা জরুরি।
জামায়াত মনে করে, এই ঘটনায় শুধুমাত্র আর্থিক ক্ষতি নয়, প্রশাসনিক কার্যক্রমেও বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। তাই ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে আরও কার্যকর ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে দলটি।