বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দপ্তরগুলোতে এখনো ফ্যাসিবাদীদের অবস্থান বজায় রয়েছে, যা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং নির্বাচনের জন্য বড় একটি সমস্যা তৈরি করছে। তিনি বলেন, “নির্বাচন যত দেরি হবে, পরিস্থিতি ততটাই খারাপ হবে।”
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন’ শীর্ষক সংলাপে যোগ দিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। সংলাপে তিনি আরো বলেন, “বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, সাত শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করেছে এবং ২০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি নির্বাচন চায়, তবে এজন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রক্রিয়া শেষ হওয়া জরুরি। কারণ, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রবেশের মূল পথ হল সুষ্ঠু নির্বাচন।” তিনি আরও বলেন, “যদি রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কমিশনগুলোর সঙ্গে বসে কাজ করত, তবে সংস্কার প্রক্রিয়া অনেক আগেই এগিয়ে যেত।”
ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাত্তরের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “একাত্তরকে ভুলে গেলে চলবে না। সেদিনের লড়াইয়ের মূল্য আমরা আজও অনুভব করি। তাই, সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে একাত্তরের সঙ্গে সম্পর্কিত করে দেখতে হবে।”
তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে যে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে নির্বাচন, সংস্কার এবং ঐক্যের সমন্বয় প্রয়োজন।