দীর্ঘ ১৫ বছর পর দেশে ফিরে যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। সোমবার দুপুরে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
পারভেজ মল্লিকের সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ড্যাবের নেতা ডা. আ ন ম মনোয়ারুল কাদির বিটু, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিন, কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান বাবুল, মহিলা দলের ঢাকা জেলা আহ্বায়ক সাবিনা ইয়াছমিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক গালিব ইমতিয়াজ নাহিদ এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি হাফিজুর রহমান সোহান।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, দেশে গণতন্ত্র, নির্বাচন এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে তালবাহানা চলছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমরা জয়লাভ করেছি। আমাদের সামনে এখন সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতন্ত্রে উত্তরণের যে আন্দোলন, তা সফল করতে পারভেজ মল্লিকের মতো নেতাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
হেলাল আরও বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয় ঐক্যের যে ডাক দিয়েছেন, আসুন আমরা সেই ডাকে সাড়া দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হই।”
খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, “পারভেজ মল্লিক একসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার কারণে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। এমনকি তার বাবা-মা মারা গেলেও তাদের শেষ দেখা বা কবর জিয়ারতের সুযোগ তাকে দেওয়া হয়নি।”
তিনি বলেন, “আজ দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। পারভেজ মল্লিক দেশে ফিরে আসার সুযোগ পেয়েছেন। আমরা মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি এবং আশা করি, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তিনি আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।”
বিএনপির নেতারা একসঙ্গে জনগণকে আহ্বান জানান, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হতে। তারা মনে করেন, দলীয় নেতাকর্মীদের এই প্রচেষ্টা দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে সহায়ক হবে।