২০২৫-২৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রস্তাবিত আকার কমিয়ে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের তুলনায় এই পরিমাণ ৩৫ হাজার কোটি টাকা কম।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক সভায় এই নতুন এডিপি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। আগামী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এডিপিটি চূড়ান্তভাবে পাস হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নতুন এডিপির আওতায় মোট প্রকল্প সংখ্যা ১ হাজার ১৪২টি। এবারের কর্মসূচিতে মূলত পরিবহন ও যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য হলো—কৌশলগত ও জনবান্ধব খাতগুলোর মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা।
অর্থায়নের বিবরণ:
সরকারি তহবিল (জিওবি): ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা
বিদেশি ঋণ (প্রকল্প সহায়তা): ৮৬ হাজার কোটি টাকা
চলতি অর্থবছরের শুরুতে এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। তবে বিভিন্ন অর্থনৈতিক বাস্তবতায় তা পরবর্তীতে হ্রাস করা হয়। নতুন অর্থবছরের এডিপিতে সেই বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজেট ঘাটতি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের বিষয় বিবেচনায় রেখে এডিপি কাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। তবু সরকারের অগ্রাধিকার খাতগুলোতে যথাযথ বিনিয়োগ নিশ্চিত করার চেষ্টা থাকবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের এই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য খুব শিগগিরই এনইসি সভায় উপস্থাপন করা হবে। সেখানেই সর্বশেষ পরিমাণ ও প্রকল্প কাঠামো চূড়ান্ত হবে।