২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশের জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার পরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনেছে সরকার। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে এই ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। পুরো চুক্তি প্রক্রিয়ায় ছিলেন জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) শীর্ষ কর্মকর্তারা।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও বিপিসির চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসানসহ একটি ক্রয় কমিটি ১৭ মে মালয়েশিয়ায় যান। তারা আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের স্বীকৃত ৯টি উৎস প্রতিষ্ঠানের কয়েকটির সঙ্গে মূল্য ও সরবরাহ বিষয়ক আলোচনায় অংশ নেন। গতকাল (২৩ মে) এসব আলোচনার কাজ শেষে দলটি বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে মোট ১২ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনা হয়েছে। এর মধ্যে ডিজেল রয়েছে ৮ লাখ মেট্রিক টন, জেট ফুয়েল (বিমানবন্দর জ্বালানি) ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন, ফার্নেস অয়েল ১ লাখ মেট্রিক টন এবং পেট্রোল ও অকটেন মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন।
এই বিষয়ে বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (কমার্শিয়াল অ্যান্ড অপারেশন) মনিলাল দাশ ইত্তেফাককে বলেন, “আমরা নেগোসিয়েশনে সর্বনিম্ন প্রিমিয়াম নিশ্চিত করেছি এবং চুক্তিগুলোর মধ্যে ফ্লেক্সিবিলিটি রেখেছি যাতে দেশের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ সুনিশ্চিত হয়।”
বর্তমানে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ লাখ মেট্রিক টন। এই বিশাল চাহিদা মেটাতে সরকার নিয়মিত আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের তেল আমদানি করে থাকে। ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য কেনা এই তেল দেশের শিল্প, পরিবহন এবং বিমান খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
<
p data-start=”2298″ data-end=”2508″>সরকারের এমন উদ্যোগ আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য স্থিতিশীল থাকা অবস্থায় চাহিদা পূরণে প্রস্তুতির পরিচয় বহন করে। এতে অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিশ্চিত হওয়া ছাড়াও বাজারে অস্থিতিশীলতা রোধে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।