1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সারা দেশে টানা বৃষ্টি, বাড়ছে অতি ভারি বর্ষণের শঙ্কা রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ কালীগঞ্জে শতবর্ষী গাছ উপড়ে ভবনের উপর, আগুনে আহত ১ আগামীকাল জাতীয় নাগরিক পার্টির ‘নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা’ ঘোষণা নেছারাবাদের শতবর্ষী পেয়ারা বাগানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য: লাউডস্পিকার জব্দ দিনাজপুরের কাহারোলে নিষিদ্ধ ঘোষিত দুই ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতার জামালপুরে যুবসমাজের প্রতিবাদ—শুভ পাঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি খুলনার দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা, প্রাক্তন স্বামীর ওপর সন্দেহের তীর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টেক্সওয়ার্ল্ড অ্যাপারেল মেলা ২০২৫-এ বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্ভাবনের প্রদর্শনী দেখাল ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯

ট্রাইব্যুনালে শুনানি: শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে গণভবনে কী ঘটেছিল

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫
শেখ হাসিনা

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের সকাল ছিল অজানা, অপ্রত্যাশিত ও নাটকীয়তায় ভরা। কেউই জানতেন না, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় পালাবদল ঘটতে চলেছে। আর দুপুর গড়াতেই আসে চাঞ্চল্যকর খবর—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং ভারতের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন।
সেদিনের আগের রাত, অর্থাৎ ৪ আগস্ট থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় জনতার ঢল। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের রেশ ধরে উত্তেজনায় টালমাটাল হয়ে ওঠে দেশ। পরিস্থিতির চূড়ান্ত মোড় নেয় ৫ আগস্ট দুপুরের দিকে।
ঘটনার গভীরে গিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উন্মোচন করেছেন। তিনি ২৫ মে (রবিবার) ট্রাইব্যুনালে একটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দাখিলের সময় এসব তথ্য উপস্থাপন করেন।
তাজুল ইসলামের ভাষ্যমতে, ৫ আগস্ট সকালে গণভবনে বসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সেখানে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের পরামর্শ দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন— “তাহলে তোমরা আমাকে গুলি করে মেরে ফেলো, গণভবনে কবর দিয়ে দাও।”
তবে এই পরামর্শ শুধু সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকেই আসেনি। জাতীয় সংসদের তৎকালীন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের কথা বলেন। যদিও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা, বিশেষ করে ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, আসাদুজ্জামান খান এবং সালমান এফ রহমান—‘গ্যাং অব ফোর’ হিসেবে অভিহিত—তাকে কঠোর অবস্থান বজায় রাখার আহ্বান জানান।
৪ আগস্ট রাত ১২টার দিকে তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। সেখানে তারিক আহমেদ সিদ্দিক পদত্যাগের প্রস্তাব আনেন, কিন্তু শেখ হাসিনা তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বরং সেনাপ্রধানকে নির্দেশ দেন, “মেরুদণ্ড শক্ত করে অবস্থান নিন, প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নিন।”
তারিক সিদ্দিক এসময় হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর প্রস্তাব দেন, যাতে বিমানবাহিনীর প্রধান তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করেন এবং বলেন, “তারিক আপনাকে ডুবিয়েছে এবং আরও ডুবাবে।”
৫ আগস্ট সকালের এক বৈঠকে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, “পুলিশ আর বেশিক্ষণ এই অবস্থান ধরে রাখতে পারবে না।”
এই অবস্থায় সেনা কর্মকর্তারা শেখ রেহানার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এমনকি রেহানা পা জড়িয়ে ধরেন, তবুও তিনি রাজি হননি। শেষপর্যন্ত পুত্র জয় ওয়াজেদের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে রাজি করানো হয়। জয় তার মাকে বোঝান, এ অবস্থায় পদত্যাগই নিরাপদ পথ। এরপর শেখ হাসিনা পদত্যাগে সম্মত হন এবং ভারতের উদ্দেশ্যে গমন করেন।
এই নাটকীয় মুহূর্তগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। অভ্যুত্থান, কূটনীতি, পরিবার ও রাজনীতির টানাপোড়েন—সব মিলিয়ে একটি যুগান্তকারী রাজনৈতিক মোড় পরিবর্তনের সাক্ষী ছিল ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট