ঈদুল আজহার পর রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে চাল ও গরুর মাংসের দাম বেড়েছে, তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও সবজির দাম কমে ক্রেতাদের স্বস্তি দিয়েছে। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নিত্যপণ্যের দামে ঈদের আগে-পরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বিভিন্ন মোকামে ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি চালের দাম ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ঢাকার খুচরা বাজারেও। এখন মোটা চাল যেমন বিআর-২৮ ও পারিজা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৮-৬২ টাকা, সরু চালের মধ্যে জিরাশাইল ৭৪-৭৮ টাকা, মিনিকেট ৭৬-৮০ টাকা, আর কাটারিভোগ ৭০-৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রামপুরা বাজারের চাল ব্যবসায়ী জুবায়ের আলী বলেন, “ঈদের পর চালকল মালিকরা দাম বাড়িয়েছেন। ধানের দাম বেড়েছে, এই অজুহাতে চালের দামও বাড়ানো হয়েছে।”
বাজারে ক্রেতা কম থাকায় ও কোরবানির পর ঘরে মাংস থাকায় ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ব্রয়লার মুরগি: ১৫০-১৬০ টাকা/কেজি, ঈদের আগে ছিল: ১৭০-১৮০ টাকা/কেজি, সোনালি মুরগি: ২৬০-২৮০ টাকা/কেজি, ডিম: ১২০-১৩০ টাকা/ডজন, এই দামে বেশ খুশি ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, চাহিদা কম থাকায় দাম নিম্নমুখী।
রাজধানীর বাজারে মাছ ও সবজির দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে: ৫০-৬০ টাকা/কেজি, কিছু মোবাইল ভ্যান বা হাটে দামে আরও ছাড় মিলছে। এই দামে অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।
অন্যদিকে গরুর মাংস ও খাসির মাংসের দাম বাড়তি রয়েছে। গরুর মাংস: ৭৮০-৮০০ টাকা/কেজি, খাসির মাংস: ১,২৫০ টাকা/কেজি, ছাগলের মাংস: ১,১০০ টাকা/কেজি।
সেলিনা হোসেন নামে এক গৃহিণী বলেন, “এক কেজি গরুর মাংস নিয়েছি ৮০০ টাকায়। দাম বেশি, কিন্তু কিছু করার নেই। দোকানিরা দাম কমাচ্ছে না।”
ঈদের পর রাজধানীর বাজারে কিছু নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম কমেছে, যা কিছুটা হলেও সাধারণ মানুষের বাজার খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখছে। তবে চাল ও গরুর মাংসের দামে লাগাম টানতে না পারলে সামগ্রিক বাজারে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।