বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ঋণ একসঙ্গে ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে ২৩ জুন (সোমবার) অনুষ্ঠিত নির্বাহী বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, চলতি জুন মাসের মধ্যেই এই অর্থ বাংলাদেশ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আর্থিক সংকট সামাল দিতে বাংলাদেশ ২০২২ সালে আইএমএফের সঙ্গে মোট ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে। এই ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি এবং প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় হয় ২ ফেব্রুয়ারি। এরপর দ্বিতীয় কিস্তি ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার এবং তৃতীয় কিস্তি ১১৫ কোটি ডলার বাংলাদেশ পায়।
এই তিন কিস্তিতে মোট ২৩১ কোটি ডলার হাতে পায় বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেই ছাড় হওয়ার কথা থাকলেও, মুদ্রা বিনিময় হার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং রাজস্ব আহরণে নির্ধারিত শর্ত পূরণ না হওয়ায় তা আটকে যায়।
শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আইএমএফ প্রতিনিধিদল এপ্রিলে ঢাকায় আসে। তারপর মে মাসে একাধিক ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের সঙ্গে আলোচনায় বসে। শেষ পর্যন্ত বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারমুখী করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় আইএমএফ ঋণ ছাড়ে সম্মত হয়।
গত ১৪ মে আইএমএফ এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশ ও সংস্থাটির মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং জুন মাসেই চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় করা হবে।
অবশেষে বোর্ড সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন মিলেছে। আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও ঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে “সন্তোষজনক অগ্রগতি” হয়েছে।