নির্বাচন না হওয়ায় দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, দুর্নীতি বাড়ছে এবং দুর্বৃত্তরা সুযোগ নিচ্ছে—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “কারণ এই সরকারের পেছনে জনগণের প্রকৃত সমর্থন নেই। নির্বাচিত সরকার এলে তা নিঃসন্দেহে শক্তিশালী হবে এবং আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা সহজ হবে।”
শনিবার (১২ জুলাই) গুলশান-২ এর হোটেল লেকশোরে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, “বিএনপি কখনো অন্যায়ের পক্ষে নয়। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত হোক। তা না হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতি ক্ষমা করবে না।” তিনি আরও বলেন, “নিহত পরিবারগুলো এখনো ক্ষতিপূরণ পায়নি, আহতদের পুনর্বাসনেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে।”
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাওয়ার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা ফ্যাসিস্ট শাসন থেকে মুক্তি পেলেও এখনো সত্যিকারের গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পারিনি। গত ১৫ বছর ধরে বিএনপি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় লড়াই করে যাচ্ছে। এর বিকল্প নেই। অন্তর্বর্তী সরকার কোনোভাবেই নির্বাচিত সরকারের বিকল্প হতে পারে না।”
সংস্কার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা বহু আগেই উপলব্ধি করেছে। ২০১৬ সালেই খালেদা জিয়া এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। পরে দলটি ‘ভিশন ২০৩১’ উপস্থাপন করে এবং রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ৩১ দফা ঘোষণা দেয়।” তিনি জানান, বিএনপি সংস্কার কমিশনকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে।
সভায় নিহতদের পরিবার ছাড়াও বিএনপির নেতাকর্মীরা এবং সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।