
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-০২ (ভাণ্ডারিয়া, নেছারাবাদ ও কাউখালী) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন দলের ত্যাগী নেতা ও ভাণ্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহমেদ সোহেল মনজুর সুমন। তিনি বর্ষীয়ান রাজনীতিক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম মনজুরের সুযোগ্য পুত্র।
দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সোহেল মনজুর শুধু ভাণ্ডারিয়ায় নয়, পুরো পিরোজপুর জেলায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে একজন নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী ও গ্রহণযোগ্য নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা, সততা ও নেতৃত্বগুণের কারণে তিনি দলের সব স্তরের নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
তৃণমূল রাজনীতি থেকে উঠে আসা এই নেতা ১/১১-পরবর্তী রাজনৈতিক দুঃসময়ে দলের পাশে থেকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। জেল-জুলুম, হয়রানি ও বাধা উপেক্ষা করে তিনি ভাণ্ডারিয়ায় বিএনপিকে সংগঠিত রাখতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক ত্যাগ-তিতিক্ষার স্বীকৃতি হিসেবেই এবার তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি।
মনোনয়ন পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আহমেদ সোহেল মনজুর সুমন বলেন, “এই মনোনয়ন শুধু আমার একার নয়; এটি তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভালোবাসা, ত্যাগ ও সংগ্রামের ফসল। আমি পিরোজপুর-০২ আসনের জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব।”
তিনি আরও বলেন, “আমার বাবা নুরুল ইসলাম মনজু যেমন এ এলাকায় উন্নয়ন ও সততার রাজনীতির দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, আমিও সেই ধারা বজায় রাখতে চাই। জনগণ পরিবর্তন চায়, নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে তারা তা প্রমাণ করবে।”
এদিকে, সোহেল মনজুর সুমনকে মনোনয়ন দেওয়ার পর পিরোজপুরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ও প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। তাঁদের মতে, সময়োপযোগী এই সিদ্ধান্তে দলের বিজয়ের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। স্থানীয় নেতারা জানান, তিনি একজন পরিচ্ছন্ন, জনপ্রিয় ও যোগ্য প্রার্থী, যিনি এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চমক দেখাতে পারেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আহমেদ সোহেল মনজুর সুমনের মনোনয়ন পিরোজপুর অঞ্চলে বিএনপির পুনরুত্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাঁর জনপ্রিয়তা ও পারিবারিক ঐতিহ্য এই আসনে ভোটযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।