অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ভারত যেভাবে হুংকার দিচ্ছে, বাংলাদেশও তার যথাযথ প্রতিহুংকার দিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, “আমরা যে কোনো পরিস্থিতিতে আমাদের সীমান্ত রক্ষায় পিছপা হবো না।” মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে সীমান্ত বাহিনী বিজিবির প্রশিক্ষণ সমাপণী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে সীমান্ত রক্ষায় সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “আমরা কোনোভাবেই সীমান্তে কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা বা উত্তেজনা সহ্য করব না।” ভারতীয় প্রতিরক্ষার হুমকির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারত হুংকার দিলেও, আমরাও যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত রয়েছি।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মিয়ানমার ঘেঁষা বাংলাদেশের সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি জানান, “এখন সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিয়ানমার সংলগ্ন সীমান্ত। সেখানে কোনো উত্তেজনা নেই, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রক্ষা করতে হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “এ মুহূর্তে সীমান্তে শঙ্কার কোনো কারণ নেই এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী।” সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সেন্টমার্টিনের নিরাপদ যাত্রার বিষয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “সেন্টমার্টিনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।” তিনি আরও বলেন, বৈদেশিক সম্পর্ক রক্ষায় সরকার সতর্ক এবং সক্রিয় রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বলেন, সম্প্রতি সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের পেছনে দুই প্রান্তের খাসিয়া সম্প্রদায়ের যোগসূত্র রয়েছে। তিনি জানান, সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনাগুলো মীমাংসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিজিবি প্রশিক্ষণ সমাপণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষায় সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। পাশাপাশি, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার প্রচেষ্টাও জোর দিয়েছেন।