আজ বৃহস্পতিবার, ২০২৫ সালের হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ তালিকা প্রকাশের পর জনগণের দাবী এবং আপত্তি নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া শেষে আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে সংস্থাটি।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম গতকাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আজ সাড়ে ১০টায় কমিশন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবে।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, প্রতি বছর ২ জানুয়ারি হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবছর ১৭ লাখ নতুন ভোটারের তথ্য হাতে এসেছে, যেগুলো আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৫ সালের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে, পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, এই তথ্যগুলো সবসময় পূর্ণাঙ্গ হয় না, কারণ অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন না। এ বছর আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারত নতুন ভোটার, তবে বর্তমানে ১৭ লাখ ভোটারের তথ্য পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৩ লাখ তথ্য ২০২২ সালে সংগ্রহ করা হয়েছিল, এবং বাকি ৪ লাখ ভোটারের তথ্য এ বছর নিবন্ধিত হয়েছে।
সানাউল্লাহ আরো বলেন, ভোটার হওয়া যোগ্য এমন নতুন ভোটারের সংখ্যা আনুমানিক ২৭ থেকে ২৮ লাখ হতে পারে, যদিও এটি কিছুটা বাড়তে বা কমতে পারে। তিনি জানান, যারা বাদ পড়েছেন, তাদের তালিকায় যুক্ত করার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ২০২৫ সালে যাদের ভোটার হওয়ার যোগ্যতা অর্জিত হবে, তাদের তথ্যও বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হতে পারে। সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।
এতথ্যে, ভোটার তালিকার হালনাগাদ প্রক্রিয়া চলছে এবং আগামী মার্চ মাসে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে, যা আগামী নির্বাচনে বড় ভূমিকা পালন করবে।