মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামে গতকাল শুক্রবার এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। নিহতের গায়ে আঘাতের চিহ্ন থাকায় তার স্বজনরা দাবি করেছেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত গৃহবধূ মাহমুদা আক্তার (৩৯)। তিনি ওই গ্রামের ইমরান নামক এক প্রবাসীর স্ত্রী। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে: ইকরা (৮), মরিয়ম (৬), ও আব্দুল্লাহ (১)। নিহতের স্বামী ইমরান সৌদি আরবে প্রবাসী ছিলেন এবং গত মাসে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। মাহমুদার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গতকাল সকালে মাছ কাটাসহ বিভিন্ন কারণে ঝগড়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর, স্থানীরা মাহমুদাকে বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
তাকে দ্রুত গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত গৃহবধূর মা মর্জিনা বেগম জানান, শুক্রবার সকালে তার মেয়েজামাই তাকে কল দিয়ে রাখেন এবং মাহমুদাকে মারধর করতে থাকেন। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কলের মাধ্যমে তার মেয়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনা জানতে পারেন। তার ধারণা, নির্যাতনের সময়ই মাহমুদার মৃত্যু ঘটেছে।
গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, “লাশ থানায় রয়েছে এবং ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে”।
ঘটনাটি এখন পুলিশের তদন্তাধীন রয়েছে এবং ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে মৃত্যুর কারণ এবং হত্যার প্রকৃত বিষয় জানা যাবে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।