বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরির মূল্য ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫১ হাজার ২৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই চতুর্থবারের মতো স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলো। দেশের ইতিহাসে এত বেশি দামে স্বর্ণ বিক্রির ঘটনা এটিই প্রথম।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। এর আগে চলতি মাসের ১ ফেব্রুয়ারি, ৫ ফেব্রুয়ারি ও ১০ ফেব্রুয়ারি স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছিল। ফলে মাসের অর্ধেক সময়ের মধ্যেই চার দফায় মূল্যবৃদ্ধি হলো।
নতুন দাম অনুযায়ী,
✔️ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরি: ১,৫১,২৮২ টাকা (১,৪৭০ টাকা বৃদ্ধি)
✔️ ২১ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরি: ১,৪৪,৪০০ টাকা (১,৩৯৯ টাকা বৃদ্ধি)
✔️ ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরি: ১,২৩,৭৬৭ টাকা (১,১৯০ টাকা বৃদ্ধি)
✔️ সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের প্রতি ভরি: ১,০১,৯৩২ টাকা (১,০১৫ টাকা বৃদ্ধি)
স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে ২২ ক্যারেট রুপার প্রতি ভরি ২,৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের ২,৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ২,১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১,৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বাজারেও এই পরিবর্তন আনতে হয়েছে। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দর বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারে স্বর্ণের দামও বাড়াতে হয়েছে। এছাড়া, ডলার সংকট ও আমদানি খরচ বৃদ্ধির কারণেও দাম বাড়ানো হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। বিয়ে কিংবা অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য স্বর্ণ কেনার পরিকল্পনা করা অনেকেই এখন অপেক্ষায় রয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে দাম কমলে ক্রয় করতে পারেন। তবে ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার সম্ভাবনা খুবই কম।