1. [email protected] : Hossain Monir : Hossain Monir
  2. [email protected] : RT BD NEWS : RT BD NEWS
  3. [email protected] : RT BD NEWS :
নাফ নদীতে ৮ বছর পর মাছ ধরার অনুমতি, উচ্ছ্বসিত জেলেরা - RT BD NEWS
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন

নাফ নদীতে ৮ বছর পর মাছ ধরার অনুমতি, উচ্ছ্বসিত জেলেরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
নাফ নদী

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে দীর্ঘ আট বছর পর মাছ ধরার অনুমতি পেয়েছেন জেলেরা। এই সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা জেলে পরিবারগুলো। টেকনাফে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

২০১৭ সালে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মাদক পাচার ঠেকাতে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করে দেয় তৎকালীন সরকার। ফলে এই অঞ্চলের হাজারো জেলে পরিবার চরম সংকটে পড়ে। অনেকে পেশা বদলে দিনমজুর বা জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করে সংসার চালাতে বাধ্য হন।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আবার নদীতে মাছ ধরতে পারার সুযোগ পেয়ে জেলেরা আনন্দিত। শাহপরীর দ্বীপের জেলে মো. আব্দুল্লাহ বলেন, “নাফ নদীতে সরকারি বিধিনিষেধ অনুযায়ী মাছ ধরতে পারছি, এটা আমাদের জন্য বড় সুখবর। আট বছর অনেক কষ্টে কাটিয়েছি, এখন প্রতিদিন মাছ ধরতে গেলে প্রচুর মাছ পাচ্ছি। মাত্র এক-দুদিন মাছ ধরলেই তিন-চার হাজার টাকা আয় হয়।”

টেকনাফ জালিয়াপাড়ার জেলে ইমাম হোসেন বলেন, “মাছ ধরতে পারলে সংসার চলে, না ধরতে পারলে ধারদেনা করতে হয়। নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এখন আর সেই চিন্তা নেই, নদীতে প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে।” তিনি আরও জানান, পোপা, ছুরি, চিংড়ি, বাটা, রূপচাঁদা, কোরালসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ এখন সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।

সাবরাং শাহপরীর দ্বীপের মেম্বার আবদুস সালাম জানান, নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি পাওয়ার পর থেকে ট্রলার ও নৌকা মালিকসহ জেলেদের পরিবারে আনন্দ বিরাজ করছে। তিনি বলেন, “আগে কিছু জেলে বাধ্য হয়ে সাগরে মাছ ধরতে যেত, কিন্তু সেখানে আরাকান আর্মির ভয়ে অনেকেই যেতে সাহস পেত না। এখন নিরাপদে মাছ ধরতে পারায় জেলেরা স্বস্তিতে আছেন।”

টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, “জেলেরা এখন নাফ নদীতে বড় বড় মাছ পাচ্ছেন। গত রোববার শাহপরীর দ্বীপের ৬-৭ জন জেলে নাফ নদীতে জাল ফেলেন এবং কয়েক ঘণ্টা পর ১৯৪ কেজি ওজনের বিশাল এক ভোল মাছ জালে আটকা পড়ে।” তিনি আরও জানান, জেলেদের উচিত সরকারি নিয়ম মেনে মাছ ধরা এবং কোনো ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডে না জড়ানো।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা, জেলেরা নিয়ম মেনে মাছ শিকার করবেন এবং সুন্দরভাবে সংসার চালাবেন। তবে বাংলাদেশ সীমানার মধ্যে থেকে মাছ ধরতে হবে।” প্রশাসন সার্বক্ষণিক নজর রাখছে যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম না ঘটে।

দীর্ঘ আট বছর পর নাফ নদীতে মাছ ধরার সুযোগ পেয়ে জেলে পরিবারগুলো নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে যেমন জেলেদের জীবনমান উন্নত হবে, তেমনি দেশের মৎস্য সম্পদের উৎপাদনও বাড়বে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 𝑹𝑻 𝑩𝑫 𝑵𝑬𝑾𝑺 আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট