আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে শুক্রবার (৯ মে) বিকেল থেকে চলছে রাজনৈতিক অবরোধ কর্মসূচি। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলেও, বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের কেউ অংশ নেয়নি বলে জানিয়েছে এনসিপি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা সারজিস আলম তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠন ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে উপস্থিত। বিএনপি যুক্ত হলে জুলাইয়ের ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। শাহবাগ এখন ঐক্যের অপেক্ষায়।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের শাহবাগ কেবল একটি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এখান থেকেই ভবিষ্যতের রাজনীতির নতুন দিকনির্দেশনা তৈরি হবে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির আরেক নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি এখন আর শুধু এনসিপির একক দাবি নয়; এটি জুলাই ঐক্যের অন্তর্ভুক্ত সব রাজনৈতিক শক্তির অভিন্ন অবস্থান।”
তার মতে, শাহবাগের এই সমাবেশ একটি সম্মিলিত গণদাবির প্রতিচ্ছবি, যা জনগণের ওপর আওয়ামী লীগের দমননীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধের অংশ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা অবস্থান নেওয়া শুরু করেন। শুক্রবার বিকেল থেকে শাহবাগ মোড়ে বড় পরিসরে অবরোধ শুরু হয়। সেখানে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার এবং মাইকিংয়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি তুলে ধরা হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপির অনুপস্থিতি সামগ্রিক ঐক্য প্রক্রিয়াকে কিছুটা পিছিয়ে দিতে পারে। তবে শাহবাগ অবরোধে অন্যান্য দলগুলোর সক্রিয়তা প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জন-আন্দোলনের ভিত্তি দিনে দিনে শক্তিশালী হচ্ছে।
শাহবাগ মোড়ের অবরোধ কর্মসূচি প্রমাণ করে, দেশের রাজনৈতিক চিত্র দ্রুত পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে। বিএনপির অংশগ্রহণ না থাকলেও অন্য দলগুলোর সক্রিয়তা এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আগামী দিনের রাজনীতির চেহারা পাল্টে দিতে পারে।