
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক পদত্যাগ করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বর্তমান সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তাঁর পদে থাকা নিয়ে আপত্তি ওঠে। এরপর তাঁকে প্রধান কার্যালয় থেকে বদলি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রাজশাহী অফিসে পাঠানো হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, “মেজবাউল হক ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।”
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। দুই ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান ও নীতি উপদেষ্টা চাপের মুখে দায়িত্ব ছাড়েন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর তৎকালীন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারকেও আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। পরে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন গভর্নর হিসেবে আহসান এইচ মনসুরকে নিয়োগ দেয়।
মো. মেজবাউল হক ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নির্বাহী পরিচালক পদে উন্নীত হন এবং সেদিনই তাঁকে মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। সেই সময়ে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন ডিজিটাল লেনদেন উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
তাঁর পদত্যাগকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরে একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পদত্যাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্বে চলমান অস্থিরতা ও নীতি পরিবর্তনের ধারাবাহিকতাকেই ইঙ্গিত করছে।