দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমে ফিরেছে। শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে হাসপাতালের সব বিভাগ— ইনডোর ও আউটডোর— পুরোদমে চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু করেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এদিন প্রায় সব চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সেবা কার্যক্রমে স্বাভাবিকভাবে অংশ নিয়েছেন। ফলে রোগীরা দীর্ঘদিন পর পূর্ণ সেবার আওতায় চিকিৎসা নিতে পারছেন।
গত ২৮ মে সকাল থেকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সব ধরনের সেবা বন্ধ হয়ে যায়। কারণ ছিল—সেখানে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনা। এ ঘটনার পর উত্তেজনা ও নিরাপত্তার অভাবে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রাখা হয়।
ঘটনার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে ৪ জুন থেকে সীমিত আকারে জরুরি সেবা চালু করা হয়। এরপর ১২ জুন থেকে বহির্বিভাগ (আউটডোর) চালু হয়। অবশেষে ১৪ জুন থেকে পুরোপুরি সব বিভাগ খুলে দেওয়া হলো।
হাসপাতালের সেবা চালুর খবরে সকাল থেকেই রোগীদের উপস্থিতি দেখা গেছে। অনেকেই চোখের জটিল সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন অপেক্ষায় ছিলেন। এখন পূর্ণ সেবা পাওয়ায় তারা স্বস্তি প্রকাশ করছেন।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সরকারি চক্ষু চিকিৎসাকেন্দ্র। এমন একটি প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকা রোগীদের জন্য ছিল বড় ভোগান্তি। তবে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন আবার প্রয়োজনীয় চক্ষু চিকিৎসা নিতে পারছেন।
স্বাস্থ্যসেবায় এমন বিঘ্ন যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।