
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সরকারি তহবিল থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে কাজ না করায় এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ইন্দুরকানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এম. মতিউর রহমান দায়িত্বে থাকাকালীন ২০২৩-২৪ অর্থবছরে “সমন্বিত পানি সম্পদ ইউনিট”-এর আওতায় বালিপাড়া এফসিডি উপ-প্রকল্পের সোরের খাল পলি অপসারণ কাজের চুক্তি করা হয়। ওই প্রকল্পের আওতায় বালিপাড়া এলসিএস দল নামে ৯,৪৯,৬৩৬ টাকার একটি চুক্তি হয়।
এলজিইডি উপজেলা কার্যালয় থেকে ১৯ মার্চ ২০২৪ তারিখে কাজ শুরু করার কার্যাদেশ দেওয়া হয়। চুক্তিপত্র অনুযায়ী আসামিরা মোট অর্থের ২৫ শতাংশ, অর্থাৎ ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪০০ টাকা অগ্রিম গ্রহণ করেন। তবে টাকা নেওয়ার পর তারা কোনো কাজ শুরু করেননি।
এলজিইডি কার্যালয় থেকে একাধিকবার তাগাদা ও লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলেও তারা সাড়া দেননি। বরং ১৯ জুন ২০২৫ তারিখে অফিসে এসে অগ্রিম টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
পরে ইন্দুরকানী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী লায়লা মিথুন বাদী হয়ে ২০২৫ সালের ১০ জুলাই পিরোজপুর জজ কোর্টে (মামলা নং–সিআর-৭৯/২০২৫) মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে আদালত উপজেলার কলারণ চণ্ডিপুর এলাকার ফারিয়া শর্মি (পিতা: ফারুক হোসেন), আক্তারুজ্জামান (পিতা: ফজলুল হক বেপারী), মেহেদী হাসান (পিতা: আ. রহিম) ও রেশমা (পিতা: মুনসুর আলী)-এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
উপজেলা প্রকৌশলী লায়লা মিথুন বলেন, “আসামিরা সরকারি অর্থ গ্রহণ করেও কোনো কাজ করেননি। আমরা তাদের বারবার তাগাদা দিয়েছি, কিন্তু তারা কোনো সাড়া দেয়নি। পরে তারা টাকা নেওয়ার কথাও অস্বীকার করেন। এজন্য সরকারি টাকা উদ্ধারের লক্ষ্যে আমি মামলা করেছি। আদালত তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মামলাটি এখন জেলার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সাধারণ মানুষ আশা করছেন, আদালতের এ পদক্ষেপের মাধ্যমে ভবিষ্যতে সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎ বন্ধ হবে।